পাটনা: সম্পর্কে তারা তুতো ভাইবোন। এরাই জড়িয়ে পড়েছিল প্রেমের সম্পর্কে। বছর দুইয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করে পালাতে চেয়েছিল প্রমিক ভাই। ততক্ষণে ভালবাসার গভীরতায় গর্ভবতী হয়ে গিয়েছে প্রমিকা। অবশেষে পুলিশের উপস্থিতিতে থানার মধ্যেই বিয়ে বিয়ে করল ওই যুগল।
আরও পড়ুন- কুম্ভ থেকে ছড়িয়েছিল করোনা, রিপোর্ট দিয়ে বিপাকে পুলিশ আধিকারিকরা
ঘটনাটি পড়শি রাজ্য বিহারের গয়া জেলার। ওই জেলার চান্দুয়াতি থানায় পুরোহিত ডেকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে জেহানাবাদ জেলার মাখদুমপুর গ্রামে বাসিন্দা যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ করা হয়। সেই সঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগও করে অভিযোগকারী।
আরও পড়ুন- দরজায় তালিবান, মোদি সরকারের নির্দেশে কাবুল দূতাবাস বন্ধ করে দেশে ফিরছে ভারত
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কিন্তু অভিযগকারী মহিলা চাইছিল না যে তার প্রমিকা জেলে যাক। বিয়ে করে সংসার করার পক্ষপাতী ছিল সে। গ্ররভস্ত সন্তানকে নিয়ে স্বামীর সংসার করার জন্য বিয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ করে সে। যার কারণে লিখিত অভিযোগ এফএইআর হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ। তবে আত্মসমর্পণ না করলে যুবকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- বাঙালিদের জাতিগত শংসাপত্রে বড় বদল বিজেপি সরকারের
সেই অনুযায়ী জেহানাদাবে ওই যুবকের বাড়িতে পৌঁছায় পুলিশের একটি দল। ছেলেটির পরিবারকে বলা হয় আত্মসমর্পণের কথা। সেই সঙ্গে মেয়েটির বক্তব্যও জানানো হয়। পুলিশের প্রস্তাবে রাজি হয় যুবকের পরিবার। চান্দুয়াতি থানায় নিয়ে আসা হয় ওই যুবককে। সেই সঙ্গে তার পরিজনেরাও আসে থানা। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের সামনে থানার মধ্যেই তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করার দাবি করা হয়। সেই দাবি মেনে পুরোহিত ডেকে থানার মধ্যেই ওই যুগলের বিয়ে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন- ‘খেলা হবে দিবসে’ রাতের কলকাতায় ধুন্ধুমার, এলিয়ট রোডে গুলি
দুই বছর ধরে ওই যুগল প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। আত্মীয়ের মধ্যে সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি ছিল না ছেলেটির পরিবার। সেই কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এরই মাঝে মেয়েটির গর্ভবতী হয়ে পড়লে আতঙ্কে ওই সম্পর্ক থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ওই যুবক। যা থেকেই শুরু হয় বিপত্তি। মেয়েটি পুলিশের দ্বারস্থ হলে সমস্যার সমাধান ঘটেছে।