দেরাদুন: বাঙালিদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নিল বিজেপি পরিচালিত রাজ্যের সরকার। জাতিগত শংসাপত্রে বোড় বদল নিয়ে এল উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকার। চলতি সপ্তাহের সোমবার ওই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে। যেখানে হাজির ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের মুখপাত্র সুবোধ উনিয়াল এই খবর জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- মহিলাদের অশ্লীল মন্তব্য, লালবাজারের নারীবাহিনীর হাতে ধৃত সাদ্দাম হোসেন
ওই রাজ্যে বাঙালিদের যে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হতো সেখানে উল্লেখ করা থাকত ‘পূর্ব পাকিস্তান’ অর্থাৎ পাকিস্তানের প্রাক্তন নাগরিক। স্বাধীনতার সময়ে দেশভাগ হয়। সেই সময় বাঙালিদের একটা বড় অংশ থেকে যায় পূর্ব পাকিস্তানে। পরে তাঁরা দেশান্তরিত হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এই ধরণের মানুষদের বাঙাল বলা হয়ে থাকে। উত্তরাখণ্ডে সকল বাঙালির জাতিগত শংসাপত্রে পাকিস্তানের পূর্বজ বিষয়টির উল্লেখ করা থাকতো।
আরও পড়ুন- রাতের কলকাতায় বাড়াতে হবে নজরদারি, কড়া নির্দেশ পুলিশ কমিশনারের
এই নিয়ে অনেক দিন আগে থেকেই সরকারের দরবার করে বাঙালি মহাসভা। সোমবার ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং-এর কাছে আবেদন জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী বাংলাই মহাসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রী অরবিন্দ পাণ্ডে এবং বিধায়ক সৌরভ বহুগুনা। সেই বৈঠকেই বাঙালিদের জাতিগত শংসাপত্রে পাকিস্তানের পূর্বজ শব্দদু’টি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- কাবুলে আটক ভারতীয়দের ফেরাতে ‘স্পেশাল আফগানিস্তান সেল’ গঠন করল ভারত
ওই রাজ্যের সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে অনেক আগেই এই বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যা কার্যকর হল দেশভাগের ৭৪ বছরের মাথায়। সাম্প্রতিক অতীতে উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগর জেলায় অনেক বাঙালিকে পূণর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। সেই সকল বাঙালিদের জাতিগত শংসাপত্রে পাকিস্তান বা পাকিস্তানের সঙ্গে বাঙালি সমাজের সম্পর্কের কথার উল্লেখ থাকছে না। এমনই জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকারের মুখপাত্র সুবোধ উনিয়াল।
আরও পড়ুন- তালিবানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে’র প্রস্তাব চিনের, টানাপোড়েন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে