কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কুম্ভ মেলায় করোনা টেস্টের ভুয়ো রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই হরিদ্বার জেলা প্রশাসনের ৩ সদস্যের কমিটিতে করা হল রদবদল। তদন্তে উঠে এসেছে কুম্ভ মেলায় প্রবেশের ছাড়পত্রের জন্য প্রায় ১ লাখ ভুয়ো কোভিড রিপোর্ট বানানো হয়েছিল। এই জালিয়াতি নজরে আসতেই দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী করা হয় উত্তরপ্রদেশের কুম্ভমেলার আয়োজক ও প্রশাসককে। তারপরই হঠাৎ এই রদবদল।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় তালিবান, বন্দুক-বেয়োনেটে ‘নব্বইয়ের আতঙ্কে’ কাবুলিওয়ালার দেশ
ভুয়ো করোনা রিপোর্ট নিয়ে স্পেশ্যাল তিন সদ্যসের ওই কমিটিতে তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন রাকেশ রাওয়াত। তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সেই জায়গায় আনা হয়েছে অভয় সিংকে। তদন্তকারী অফিসার রাজেশ শাহকে বদলি করা হয়েছে দেরাদুনে। যদিও এ নিয়ে হরিদ্বারের এসএসপি সেন্থিল অ্যাভোদাই কৃষ্ণ রাজ জানিয়েছেন, এই বদল শুধুই রুটিনমাফিক।
আরও পড়ুন: মহিলাদের অশ্লীল মন্তব্য, লালবাজারের নারীবাহিনীর হাতে ধৃত সাদ্দাম হোসেন
দিন কয়েক আগেই স্পেশ্যাল সদস্যের এই দল জানিয়েছিল, কুম্ভ মেলার সময় ম্যাক্স কর্পোরেট সার্ভিস নামে এক সংস্থার হাতে করোনার পরীক্ষা নেওয়ার চুক্তি করেছিল মেলা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পুরোটাই ছিল পরিকল্পিত। অন্যদিকে, ম্যাক্স কমিটি জাল চুক্তিপত্রে সই করিয়েছিল বলে দাবি করেছিল মেলা কমিটি। তদন্ত কমিটি সে দাবি নস্যাৎ করে জানিয়েছিল, ম্যাক্স –এর কাছে আইসিএমআর স্বীকৃত কোনও কাগজ ছিল না। সেক্ষেত্রে কীভাবে তাদের সঙ্গে চুক্তি করে মেলা কমিটি এই প্রশ্ন তোলা হয় রিপোর্টে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই দেশজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: বাঙালিদের জাতিগত শংসাপত্রে বড় বদল বিজেপি সরকারের
করোনা নিয়ে ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি তো হয়েছেই উপরন্তু এমনও দেখা গেছে যে ব্যক্তি মেলাতে আসেননি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে তার রিপোর্টও। হরিদ্বারে কুম্ভ মেলা চলাকালীন আক্রান্তের হার ছিল ০.১৮ শতাংশ, যেখানে আসলে আক্রান্তের হার ছিল ৫.৩ শতাংশ। ভুল তথ্যের জেরেই করোনা আক্রান্ত রোগীরাও মেলা প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙেই ঘুরে বেরিয়েছেন এবং তাদের থেকে উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এভাবেই গোটা দেশের করোনা গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হয়েছিল এপ্রিল-মে মাসের দোরগোড়ায়।