নয়াদিল্লি: ৩১ ডিসেম্বরের (December) মধ্যে দেশের সব নাগরিককে টিকা (Vaccine) দিতে চায় কেন্দ্র৷ এ জন্য প্রয়োজন ২১৬ কোটি টিকার ডোজ৷ এদিকে সবাইকে টিকা দিতে গেলে যে দ্রুততার সঙ্গে টিকাকরণ কর্মসূচি হওয়া উচিত তা হচ্ছে না৷ এর মূল কারণ, টিকার ঘাটতি৷ পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ৫৪ শতাংশ ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে৷ আর হাতে আছে কয়েকমাস সময়৷ কোন অঙ্কে এই বিপুল পরিমাণ টিকার ঘাটতি মেটানো সম্ভব তা ভেবেই পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা৷
আরও পড়ুন: সংক্রমণের দৌড়ে এগিয়ে কেরল, মহারাষ্ট্র
ডিসেম্বরের মধ্যে সবাই টিকা পেয়ে যাবেন, কেন্দ্রের এই দাবি নতুন নয়৷ কিন্তু দেশের টিকাকরণের ছবি অন্য কথা বলছে৷ প্রায় সব রাজ্যেই ভ্যাকসিন ঘাটতি ৩০ শতাংশের উপরে৷ সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বিহারের৷ পরিসংখ্যান বলছে, বিহারের ভ্যাকসিন ঘাটতি ৭১ শতাংশ৷ গেরুয়া শিবিরের ভাষায়, কেন্দ্রে ও রাজ্যে বিজেপি সরকার থাকলে কাজ হবে ‘ডবল ইঞ্জিন’-এর গতিতে৷ সমালোচকদের মতে, বিহারের ক্ষেত্রে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার ডাহা ফেল৷
বিহারের পরেই আছে রাজস্থান এবং পশ্চিমবঙ্গ৷ এই দুই রাজ্যে টিকার ঘাটতি ৬৬ শতাংশ৷ তার পর আছে উত্তরপ্রদেশ (৬৪ শতাংশ) এবং ঝাড়খণ্ড (৬২ শতাংশ)৷ দেশের মধ্যে এই পাঁচ রাজ্যেই ভ্যাকসিন ঘাটতি সর্বাধিক৷ তুলনামূলক ভালো অবস্থায় দিল্লি এবং কেরল৷ সেখানে ভ্যাকসিন ঘাটতি ২২ শতাংশ৷ কিন্তু তারাও ডিসেম্বরের মধ্যে সবাইকে টিকা দিতে পারবে না৷
আরও পড়ুন: ‘শিরে-করোনা’, গাইড লাইন নিয়ে বৈঠকে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির
আজ শুক্রবার কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের ৩৬ কোটি মানুষ টিকার ডোজ পেয়েছেন৷ ১১ কোটির বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৮-৪৪ বয়সীদের৷ ২৪ ঘণ্টায় ৪০ লাখের বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাই একমাত্র হাতিয়ার৷ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে টিকাকরণের কাজ যতটা সম্ভব এগিয়ে রাখতে হবে৷ কিন্তু এই সাত মাসে দেশের মাত্র ৫ শতাংশের মানুষেরই এখনও পর্যন্ত টিকাকরণ হয়েছে৷ টিকাকরণের কাজে গতি আনতে প্রয়োজন আরও বেশি ভ্যাকসিনের৷ এদিকে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন টিকার ডোজই রাজ্যগুলো পাঠানো হচ্ছে৷ বিদেশি টিকাগুলোকে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও সেগুলির ব্যবহার শুরু হয়নি৷