কলকাতা: শুরু হয়ে গেছে বাঙালির প্রাণের উৎসবের কাউন্টডাউন ৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলে পুজো উৎসাহে ভাটা পড়েছে অনেকটাই৷ মণ্ডপ তৈরি থেকে ঠাকুরের বায়না, আয়োজন নিয়ে সংশয় রয়েছে উদ্যোক্তাদের৷ কোভিড গাইড লাইন তৈরি করতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটি৷ সদস্যদের মত, ২০২০ সালে হাইকোর্টের নির্দেশ মাথায় রেখে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় একটি খসরা গাইড লাইন তৈরি করেছেফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যরা৷
আরও পড়ুন: পুজো কমিটি পিছু ৫০ জন করে মিলবে কোভিড ভ্যাকসিন
ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটি প্রাথমিক গাইড লাইন অনুসার , প্রতিটি পুজোমণ্ডপে থাকতে হবে স্যানেটইজেশনের ব্যবস্থা৷ মাস্ক ছাড়া মণ্ডপে প্রবেশে নিষেধজ্ঞা রয়েছে৷ দর্শনার্থীদের মণ্ডপে প্রবেশের ক্ষেত্রে টিকার একটি ডোজ বাধ্যতামূলক৷ মণ্ডপে মেনে চলতে হবে দূরত্ব বিধি৷ পিপিই কিট পরতে হবে স্বেচ্ছাসেবকদের৷ কমিটির সদস্যদের ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পুজোর আগেই নিতে হবে৷ পুজোর আয়োজন ও বিধিনিষেধ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে এখনও পর্যন্ত বৈঠক হয়নি৷ গাইড লাইন প্রকাশ করা হয়নি নবান্ন সূত্রে৷ কিছুদিনের মধ্যেই শহরের নামী পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডেল্টা স্ট্রেনকে টেক্কা দিতে তৈরি হয়েছে আরও বড় চ্যালেঞ্জ ডেল্টা প্লাস৷ বিধিনিষেধের রাশ আলগা করলেও পুজোর সময় করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভবনার কথা জানিয়ে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা৷ গতবছর অতিমারি পরিস্থিতিতে ঠাকুর দেখায় রাশ টানতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়৷ শেষ মুহুর্তে আদালত সমস্ত মণ্ডপ নো এন্ট্রি জোন ঘোষণা করার নির্দেশ দেয়৷ ২০২১ সালে দুর্গা পুজোর গাইড লাইন ঠিক হাইকোর্টের নির্দেশকে মাথায় রেখেই এগোতে চায় ফোরাম৷ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিণে রাখতে এ বছর ঠাকুর দেখার ছাড়পত্র কী আদৌ মিলবে?