আগরতলা: ত্রিপুরার হিংসা (Tripura Violance) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (supreme court) তৃণমূল কংগ্রেসের দায়ের করা আদালত অবমাননা মামলায় শুনানি চলছে। তার মধ্যেই সোমবার রাতে আগরতলার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী গৌরী মজুমদারকে লক্ষ করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। যদিও গুলি তাঁর গায়ে লাগেনি। অভিযোগ, বিজেপির (Tripura BJP) লোকজনই গুলি চালিয়েছে। আগরতলার এই ঘটনার জেরে নতুন করে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, ভয় পেয়ে গিয়েছে বিজেপি, তাই এই সন্ত্রাস।
ত্রিপুরায় রাজনৈতিক হিংসা বেশ কিছুদিন ধরেই শুরু হয়েছে। তৃণমূল ত্রিপুরায় পা রাখার সঙ্গেই তাদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুস্মিতা দেব’রাও বিজেপির হেনস্থার শিকার হয়েছেন। দু’দিন আগে সায়নী ঘোষকেও মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। ফলে, রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিলই। সোমবার রাতে তৃণমূল প্রার্থী গৌরী মজুমদার হামলাকারীদের নিশানা হওয়ায় উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, ‘ভোট হারার ভয় ঢুকে গিয়েছে বিজেপির। সেই কারণে সন্ত্রাস শুরু করেছে। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে।’ বিজেপি নেতা সুদীপ রায়বর্মন ত্রিপুরার হিংসা নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন, তা-ও সমর্থন করেন কুণাল। তৃণমূলের মুখপাত্রর বক্তব্য, বিপ্লব দেব সরকারের মুখোশ খুলে দিয়েছেন সুদীপ। হিম্মত থাকলে ওকে বহিষ্কার করে দেখাক।
আরও পড়ুন – ত্রিপুরায় পুরভোট পিছিয়ে দিতে সুপ্রিম কোর্টে আর্জি তৃণমূলের
এদিকে, ত্রিপুরায় পুরভোটের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হল। বিপ্লব দেবের সরকার কী রিপোর্ট দেয় তার উপরই নির্ভর করছে সুপ্রিম কোর্টের রায়। আজ, মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানি হয়। তৃণমূলের দায়ের করা আদালত অবমাননার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি গ্রহণ করে। একইসঙ্গে আগরতলা হাইকোর্টও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিল ত্রিপুরার পুরভোটের আগে সেন্সিটিভিটি ম্যাপিং তৈরি করতে হবে। ভোট গ্রহণের ২৪ ঘণ্টা আগে বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কমিশনকে।