কলকাতা: তৃণমূলে (TMC) যোগ দিতে চলেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে তাঁর আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে। সূত্রের খবর, প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্নর মমতার টিমে যোগদান স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। শহিদ দিবসের মঞ্চেই ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন বিহারিবাবু (Bihari Babu)। তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সাংসদও করা হতে পারে তাঁকে, এমনটাই খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন: ছাড়লেন প্রদেশ কংগ্রেসের পদ, এবার কি তৃণমূলে সোমেন পুত্র
করোনার জেরে এবার ভার্চুয়ালিই ২১ জুলাই পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। ধর্মতলায় সীমিত সংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে পালিত হবে শহিদ দিবস। ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেক বছর এই দিনটিতে রাজনৈতিক চমক দেন মমতা। তবে এ বারের চমক হয়তো আগের বছরগুলিকে টেক্কা দিতে চলেছে। ভার্চুয়াল মঞ্চেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘাসফুল শিবিরে (TMC) যোগ দিতে চলেছেন বলিউডের ‘খামোশ’ ম্যান।
তৃণমূলের সঙ্গে বিহারিবাবুর ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘদিনের। তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। তৃণমূল সুপ্রিমোকে ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মমতার বিগ্রেডেও দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন বিজেপি সাংসদকে। ভোটের ঠিক আগেই শত্রুঘ্ন সিনহার আরেক সতীর্থ, বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী যশবন্ত সিনহা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ভোট মিটতেই যশবন্তের দেখানো পথে পা বাড়াচ্ছেন শত্রুঘ্ন।
আরও পড়ুন: বাংলায় RSS-এর তিন সদর দফতর, সংখ্যালঘু এলাকায় শাখা
আটের দশক থেকে বিজেপি করেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বাজপেয়ী–আডবানি মন্ত্রিসভায় থাকলেও মোদি–শাহের আমলে গুরুত্ব পাননি পাটনা সাহিব কেন্দ্রের ২ বারের সাংসদ শত্রুঘ্ন। রাজনীতির ময়দানে নেমে বন্ধু রাজেশ খান্নার বিপরীতে উপ-নির্বাচনে হারলেও দৌড় থামাননি বিহারিবাবু। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) টিকিটে পাটনা সাহিব কেন্দ্র থেকে সাংসদ হন তিনি। ২০১৯ সালে টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
কংগ্রেসের টিকিটে পাটনা সাহিব কেন্দ্রে লড়লেও সেবার জয়ের মুখ দেখতে পারেননি তিনি। মোদি-শাহের নেতৃত্বাধীন বিজেপির মতো কংগ্রেসও তাঁকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়নি বলে ঘনিষ্ঠমহলে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী যশবন্ত সিনহা তৃণমূলে যোগ দিতেই ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান প্রাক্তন সাংসদ-অভিনেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর মতাদর্শের মিল খুঁজে পান প্রবীণ অভিনেতা। তারপরই ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখানোর তোড়জোর শুরু করেন তিনি।
আরও পড়ুন: “১৫ দিনে বদলায় ভ্যারিয়েন্ট” ব্যাখ্যা দিলেন বিপ্লব দেব