কলকাতা: ২০২০-র নভেম্বরে একাধিক ট্যুইটে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছিলেন। সেই সময় জানিয়েও ছিলেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ‘শ্রদ্ধাশীল’। সেই থেকে সোমেন পুত্র রোহনের দলবদলের জল্পনা শুরু। বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর এবার একরাশ ক্ষোভ উগরে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রয়াত সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্র। তবে দলীয় পদ ছাড়লেও তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: ২১ জুলাই মমতার টিমে বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন
বুধবার দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তার আগেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন রোহন। তিন পাতার ইস্তফাপত্রে অধীরের প্রদেশ কংগ্রেস পরিচালনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। চিঠিতে রোহন লিখেছেন, ‘অধীর চৌধুরী যোগ্য নেতা। কিন্তু যাঁদের নিয়ে চলছেন, তাঁদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। সেই কারণেই কংগ্রেসের এই হাল। বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পরেও কংগ্রেসকে নতুনভাবে সাজানোরও কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।’
অধীরের জমানায় বারবার তাঁকে অপমানিত করা হয়েছে বলে চিঠিতে দাবি করেছেন সোমেন পুত্র। যুব কংগ্রেসের নির্বাচনে তাঁকে কীভাবে হারানো হয়েছিল, সে কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি তিনি। তাঁর অভিযোগ, যেভাবে দল পরিচালনা করা হচ্ছে, তা একেবারেই ঠিক নয়। তবে পদ ছাড়লেও দল ছাড়ছেন না বলে দাবি করেছেন রোহন। তিনি বলেন, ‘আমি সভাপতি অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছি। কিন্তু দল ছাড়িনি। কংগ্রেস কর্মী হিসেবে দলের কাজ করে যাব।’
আরও পড়ুন: ক্যারাটেকারের রহস্য মৃত্যুতে গ্রেফতার বয়ফ্রেন্ড
বিধানসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে কংগ্রেসের ঝুলিতে আসন সংখ্যা শূন্য। নির্বাচনী ফলাফল পর্যালোচনায় বুধবার বৈঠকে বসছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এবং সহ-সভাপতিদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। বিকেল ৩ টেয় প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে বৈঠক শুরু হবে। তবে বৈঠকের আগেই সোমেন মিত্রের পুত্র রোহন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।