কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: হয় চাকরি দাও, নয় মরতে দাও। এই স্লোগানকে সামনে রেখে দিল্লি অভিযান চলছে আধা সামরিক বাহিনীর চাকরি প্রার্থীদের। আগামী ২৫ জুলাই দিল্লির যন্তর মন্তরে এই চাকরিপ্রার্থীদের কেন্দ্রীয় সমাবেশ। মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে ২০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থী পদযাত্রায় সামিল হয়েছেন। সেই পদযাত্রার ৪৪ দিনে শুক্রবার তাঁরা পৌঁছন আগ্রা শহরে। তখনও তাঁদের মুখে স্লোগান, হয় চাকরি দাও, নয় মরতে দাও। আগ্রায় ওই পদযাত্রীদের গোলাপ ফুল দিয়ে স্বাগত জানান কংগ্রেস কর্মীরা। পদযাত্রীদের অনেকের হাতেই রয়েছে জাতীয় পতাকা।
বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী টুইটে জানান, ওই আন্দোলনকারীদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশের চাকরিপ্রার্থী তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে সরকার এরকম ব্যবহার কী করে? তাঁর প্রশ্ন গণতন্ত্র কোথায়।
আগ্রা কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক অমিত সিং বলেন, বিজেপি সরকারের একগুঁয়ে মনোভাবের জন্য দেশের যুবকদের আজ এই দশা। যুবকদের হাতে টাকা নেই, চাকরি নেই। চাকরির দাবিতে পথে নেমে তাদের বলতে হচ্ছে, চাকরি না দিলে মরার পথ বাতলে দাও। সিং বলেন, এটাই বারতের প্রকৃত চিত্র। পদযাত্রীদের তরফে বিশাল লাংরে জানান, আধা সামরিক বাহিনীর চাকরির জন্য তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেছেন, মেডিক্যাল টেস্টও হয়ে গিয়েছে। তবু তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বসল সংসদের অধিবেশন, বুধবার ৪৪ বছর পর ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট বাছবেন শ্রীলঙ্কার সাংসদরা
এর আগে একই দাবিতে বিশলরা দিল্লিতে টানা ৭২ দিন অনশন-ধর্মঘট করেছিলেন। তারপরে নাগপুরের সংবিধান চকে অনেকদিন ধরে প্রতিবাদ আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। এবার তাঁদের গন্তব্য দিল্লির যন্তর মন্তর। বিশাল বলেন, সরকারকে আমাদের চাকরি দিতে হবে নতুবা মরার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এই দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে। তিনি আরও জানান, এই গরমে হাঁটতে গিয়ে অনেক পদযাত্রী অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন, অনেকের পায়ে ফস্কা পড়ে গিয়েছে। তবু সরকারের কোনও হেলদোল নেই। এই প্রসঙ্গেই তিনি মহারাষ্ট্রের কৃষকযাত্রার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। এর আগে এই মহারাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন দাবিদাওয়ার ভিত্তিতে কৃষকদের পদযাত্রা হয় দিল্লির উদ্দেশে। ওই পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী অনেকের পায়ে দগদগে ঘা হয়ে গিয়েছিল। সেই পায়ের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Coal Scam: কয়লা কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন ইসিএল কর্তার সিবিআই হেফাজত
পদযাত্রী প্রমীলাবাহিনীর নেত্রী রূপালি বলেন, পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন ২০০ জন। তার মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ৩০ জন মহিলা। যতদিন না দাবি পূরণ হবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। বিশাল মাহাতো নামে আরেক পদযাত্রী বলেন, আমাদের নিয়োগপত্র না দেওয়ার কোনও কারণ নেই। তাঁর অভিযোগ, আসলে কেন্দ্রীয় সরকার এই শূন্যপদগুলি অগ্নিবীর দিয়ে পূরণ করতে চাইছে।
দিল্লিতে আধা সামরিকবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, ২০১৮ সালে বাহিনীতে ৬০ হাজার ১২০ জন কনস্টেবলের নোটিস দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে ৫৫ হাজার ৯১২ জনকে নিয়োগ করা হয়। আরও চার হাজার নিয়োগ বাকি রয়েছে। তবে সেই নিয়োগ কবে হবে, তার কোনও স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি ওই মুখপাত্র।
আরও পড়ুন: All Party Meeting: সংসদীয় রীতি ভুলুণ্ঠিত, স্পিকারের ডাকা সর্বদল বৈঠক বয়কট তৃণমূলের