নয়াদিল্লি: সংসদে সাংসদদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। জনগণের স্বার্থে কিছু বলতে দেওয়া হচ্ছে না। সরকার বিরোধী কথা উঠলেই থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার ডাকা সর্বদল বৈঠক বাতিল করল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, সংসদে সাংসদদের কথা বলতে দিচ্ছে না এই সরকার। কী শব্দ ব্যবহার করবে, তাও ঠিক করে দিচ্ছে। এভাবে সংসদ চলতে পারে না। যেখানে কথা বলার অধিকার নেই, সেই সংসদের সাংসদদের সম্মান নেই। তাই আমরা অধ্যক্ষের ডাকা সর্বদলে না যাওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিতর্কটা প্রথম শুরু হয় নতুন সংসদ ভবনে সিংহের মূর্তি উন্মোচনকে কেন্দ্র করে। অশোক স্তম্ভে সিংহের মুখ পাল্টে দিয়েছে মোদি সরকার, এই অভিযোগে সরব হয়েছে দেশের সব বিরোধীরা। দ্বিতীয় বিতর্ক তৈরি হয় সাংসদদের সংসদে শব্দ ব্যবহারকে কেন্দ্র করে। সেই বিতর্কে রেশ কাটার আগেই সংসদ চত্বরে ধরনা, অনশন নিষিদ্ধ করা হয়। একের পর এক এহেন কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় তৃণমূল সহ বিরোধীরা। আর তার প্রেক্ষিতেই আজ সর্বদল বয়কটের সিদ্ধান্ত।
Union govt never allow a discussion on any ‘people centric’ issue in #Parliament They run scared making a mockery of #ParliamentaryDemocracy
PRE-SESSION ALL PARTY MEETINGS NOW A SHAM.
PM photo-op where Govt says ‘we are willing to discus any subject’ but end up ignoring Oppn
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) July 16, 2022
সর্বদল বয়কট প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, সংসদে সাংসদদের কাজ করতে দেওয়া হয় না। আমরা প্রতিবাদ করেছি। আগামী দিনেও করব। তৃণমূল মানুষের কথা বলে। তৃণমূলের কণ্ঠরোধ করা মানে সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ। এর প্রতিবাদেই আজকের বয়কটের সিদ্ধান্ত। ১৮ তারিখ থেকে শুরু হওয়া সংসদের বাদল অধিবেশনেও এনিয়ে আমরা সরব হব।