নয়াদিল্লি: রাফাল চুক্তি নিয়ে আগেই মুখ পুড়েছিল মোদির সরকারের। কেন্দ্রের অস্বস্তি আরও বাড়াল ফরাসি অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘মিডিয়াপার্ট’-এর একটি রিপোর্ট। তাদের দাবি, রাফাল চুক্তির সময় ভারতীয় মধ্যস্থতাকারীকে ৬৫ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেনের বিষয়টি ভারত সরকারের তদন্তকারী এজেন্সিগুলি জানলেও তারা হাত গুটিয়ে বসেছিল বলে দাবি সংবাদমাধ্যমটির।
এর আগে বিরোধী দলগুলি বহুবার রাফাল চুক্তি নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল। ২০১৬ সালে চুক্তি অনুসারে, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (হ্যাল) ১২৬টি ফাইটার বিমান কেনার কথা ছিল। তবে মোদি সরকার সেই চুক্তি ভেঙে আগের চেয়ে কয়েক গুন বেশি টাকায় ফরাসি সংস্থা দাসোর সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করে। পূর্ববর্তী কোনও অভিজ্ঞতা না থাকলেও ওই বিমানের যন্ত্রাংশ তৈরির দায়িত্ব পায় অনিল আম্বানির রিলায়েন্স ডিফেন্স।
আরও পড়ুন: রাফাল মামলায় ফের তদন্তের নির্দেশ ফ্রান্সের
দুই দেশের চুক্তি নিয়েও একাধিক বেনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অনিল আম্বানিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে বিরোধীরা। যুদ্ধবিমান চুক্তি ঘিরে নতুন করে বিচারবিভাগীয় তদন্তও করছে ফ্রান্স। ‘মিডিয়াপার্ট’ এর দাবি, এই চুক্তির সময় সুষেন গুপ্তা নামে এক ব্যক্তিকে দাসো ৬৫ কোটি টাকা দিয়েছিল। বেনামি কোম্পানি, ভুয়ো চুক্তি এবং নকল চালানের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয়েছিল।
‘মিডিয়াপার্ট’ আরও একটি বোমা ফাটিয়েছে। তাদের দাবি, চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর উপহার স্বরূপ এই টাকা দেওয়া হয়েছিল সুষেনকে। সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলি এই ঘুষের বিষয়টি জানত। তা সত্ত্বেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি সুষেনের বিরুদ্ধে। কী কারণে তারা ব্যবস্থা নেয়নি, সেই প্রশ্নও উঠছে। ভিভিআইপি চপার দুর্নীতির ঘটনায় বিজেপি ঘনিষ্ঠ সুষেনকে ২০২০ সালে গ্রেফতার ইডি।
আরও পড়ুন: রাফাল: বিরোধী কাঁটায় বিদ্ধ মোদি