নয়াদিল্লি: কৃষক আন্দোলনে উত্তাল হরিয়ানা। মঙ্গলবার সরকারের সঙ্গে কৃষকদের আলোচনা ব্যর্থ হয়। কোনও সমাধান সূত্রে না মেলায় বিক্ষোভকারীরা কারনালে সচিবালয়ের দিকে এগোতে শুরু করেন। খট্টর সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যারিকেড, জল কামানের ব্যবস্থা রাখলেও কোনও লাভ হয়নি। ব্যারিকেড ভেঙেই এগিয়ে যান কৃষকরা। জল কামান ব্যবহার করেও তাঁদের আটকানো যায়নি।
২৮ অগস্ট কারনালের এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশের লাঠিতে জখম হন একাধিক কৃষক। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানান কৃষকরা। পূর্ব ঘোষণা মতো এই দাবি নিয়ে মঙ্গলবার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন কৃষকরা। সেই আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় তাঁরা আন্দোলনকারী মিনি সচিবালয়ে উদ্দেশ্যে রওনা দেন। একাধিক ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় মিছিল।
কৃষক নেতা যোগেন্দ্র যাদব টুইটে করে জানান, চাপে পড়ে কৃষক নেতৃত্বকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। বিশাল সংখ্যায় কৃষকদের আটকাতে হরিয়ানা পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে।
আরও পড়ুন: নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের উপর লাঠি চার্জ, অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে ফের কৃষক আন্দোলন
সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী কৃষকরা মিনি সচিবালয়ে পৌঁছন। কাতারে কাতারে কৃষক সচিবালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, আমরা সচিবালয়ের গেটটি দখল করে নিয়েছি। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে চাই। আলোচনার জন্য আপাতত সময় নেই, সেটি পরেও হতে পারে। সমস্ত দাবি না মানা পর্যন্ত সচিবালয় ঘেরাও চলবে বলেও জানান তিনি।
ডিসি নিশান্ত কুমার যাদব, আইজি মমতা সিং এবং এসপি গঙ্গারাম পুনিয়া এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করলেও কোনও লাভ হয়নি। সচিবালয়ের বাইরে লঙ্গরও আয়োজন করা হয়। হরিয়ানা সরকার কারনালে টেলিকম পরিষেবা সাময়িকভাবে স্থগিত করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: শরিয়া আইন মেনে প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা তালিবানের