নয়াদিল্লি : কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লির সীমান্তে গত এক বছর ধরে সমবেত ভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছে দেশের ৪০ টি কৃষক সংগঠন। গত ২৮ অগস্ট সংশোধিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ জানান কৃষকরা৷ আন্দোলন ভঙ্গ করতে পরিকল্পনা করে ‘লাঠি চার্জ’ করে পুলিশ৷ এই ঘটনায় বহু কৃষক জখম হন৷ যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিল্লির সীমান্তে ফের কৃষক আন্দোলন শুরু হয়।
আরও পড়ুন : আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদির নামে প্রচার করবো, কেন্দ্রকে কটাক্ষ কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের
মঙ্গলবার সকাল থেকেই দিল্লির সীমানায় অবস্থিত একটি বাজার এলাকায় জমা হয়ে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার কৃষক। এদিন ৩ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ফের একবার আন্দোলনে সামিল হন তাঁরা। কিন্তু এর আগে যতবার আন্দোলন হয়েছে, তখনই কৃষকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ হয়েছে। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে অনেক কৃষকের। জখম হয়েছেন বহু। অনেক সময় দেখা গেছে, বয়সের তোয়াক্কা না করেই বৃদ্ধ কৃষকদের উপরও লাঠি চালাচ্ছে পুলিশ। তাই এবার শুধুমাত্র কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে নয়, সেই সঙ্গে নিরস্ত্র কৃষকদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুন : দাবি না মিটলে আন্দোলন চলবে, মহাপঞ্চায়েত থেকে কেন্দ্রকে হুশিয়ারি কৃষকদের
বলবীর সিং রাজেওয়াল নামে এক কৃষক নেতা জানান, “যারা নিরস্ত্র ও প্রৌঢ় কৃষকদের উপর লাঠি চার্জ করেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার কৃষক একজোট হয়ে শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।” দিল্লি থেকে প্রায় ১৫০ কিমি দূরে অবস্থিত একটি শস্যের বাজারে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। বলবীর সিং জানান, “নিজেদের দাবি জানাতে কৃষকরা হরিয়ানার প্রধান সরকারি কার্যালয়ে বিক্ষোভের আয়োজন করবে।” গত মাসে কৃষক আন্দোলন চলাকালীন তাঁদের উপর লাঠি চার্জ করে পুলিশ। যার ফলে জখম হন প্রায় ১০ জন কৃষক। পরে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। কিন্তু পুলিশ জানায়, লাঠির আঘাতে মৃত্যু হয়নি ওই কৃষকদের।