দিল্লি : দিপাবলীর পর দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রা বিপদসীমা পেরিয়ে গেছিল। আবহাওয়াবিদরা আগেই আশঙ্কা করেছিল যে দিপাবলীর পর দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়বে। তাদের সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে বায়ু দূষণের মাত্রা বেড়ে হয়েছিল ৭৭৪.৬৯। এই দূষণের কারণে স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেয় দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার। সেখানে ফের শুরু হয় অনলাইন ক্লাস। দিল্লির সমস্ত সরকারি অফিসে ১০০ শতাংশ কাজ ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ একই ভাবে কোনও প্রকার নির্মাণ কাজ করা যাবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল দিল্লির সরকার। দিল্লিতে বায়ু দূষণের মাত্রা এখনও কমেনি। তবে আগের মত ভয়াবহ জায়গায় নেই বলে এবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছে দিল্লি সরকার।
আরও পড়ুন : দিল্লিতে দূষণের ১৫০টি হটস্পট চিহ্নিত করল সরকার
দূষণের ফলে দিল্লিতে সব রকম নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। সোমবার থেকে নির্মাণকাজের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিযান এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ রবিবার নির্মাণ কাজের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। রাজ্যের বাইরে থেকে শহরের ভেতর পণ্যবাহী ট্রাকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। একমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য ট্রাকগুলির প্রবেশের উপর এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকছে।
দিল্লির সরকারি অফিস, বেসরকারি সংস্থা এবং কর্পোরেশন আগামী ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকছে। এখন শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় এবং জরুরী পরিষেবা সঙ্গে জড়িত বিভাগগুলি খোলা থাকবে। সরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা গুলিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে তারাও তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেয়। রবিবার দিল্লির সরকারি শিক্ষা দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে যে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ থাকবে। আগে যেভাবে অনলাইনে পড়াশোনা চলছিলনা সেভাবেই চলবে। পরীক্ষার আগে পুনরায় স্কুল থেকে নির্দেশিকা জারি করা হবে। কোভিডপরবর্তীকালে ১ নভেম্বর থেকেই দিল্লির জুনিয়ার স্কুলগুলো খোলা হয়েছিল। তবে বেসরকারি স্কুলগুলি খোলা হয়েছে ৮ নভেম্বর থেকে। পরিবেশ দূষণের কারণে এক সপ্তাহের মধ্যেই স্কুলগুলি পুনরায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অভিবাবকরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। স্কুলের অধ্যক্ষরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৯ মাস বন্ধ থাকার পর সবেমাত্র স্কুলগুলি চালু হয়েছিল। এইভাবে চলতে থাকলে শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নতিতে বাঁধা পড়বে বলে জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান স্কুলের অধ্যক্ষ তানিয়া যোশী।