দিল্লি : দূষণের দিক থেকে বরাবরই দেশের মধ্যে শীর্ষে ছিল দিল্লি। সম্প্রতি দিল্লি সরকার প্রায় ১৫০টি দূষণের হটস্পট খুঁজে পেয়েছে সমগ্র দিল্লি জুড়ে। গ্রীন দিল্লি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মাধ্যমে ১৫০টি হটস্পট চিহ্নিত করেছে দিল্লি সরকার।
পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই মঙ্গলবার জানান, রাজ্য সরকার গত বছর ১১৩ টি বায়ু দূষণের হটস্পট চিহ্নিত করেছিল। এই বছর সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫০। গতবছর চালু হওয়া এই গ্রীন দিল্লি অ্যাপ্লিকেশন প্রশংসনীয় ভাবে বায়ু দূষণের কাজ করেছিল। বায়ু দূষণ সংক্রান্ত ২৭ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছিল এবং তার মধ্যে ২৩ হাজার অভিযোগ সাফল্যের সঙ্গে সমাধান করা হয়েছিল। পৌর কর্পোরেশন ডিডিএ এবং PWD থেকেই বেশি অভিযোগ এসেছিল যা সফল ভাবে সমাধান করা হয়। বায়ু দূষণ রোধের জন্য একটি শক্তিশালী দল গঠন করা হয়েছিল। এছাড়াও গ্রিন দিল্লির সঙ্গে যুক্ত গোপাল রাই বলেন যে, ১৫০ টি হটস্পট চিহ্নিত করে কাজ করার ফলে বায়ু দূষণ অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, সবুজ যুদ্ধ কক্ষ হলো যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু এবং এখানেই সব অভিযোগগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় এবং তা সমাধানের চেষ্টা করা হয়। সরকার গত বছর থেকে অক্টোবরে এই অ্যাপটি চালু করে এবং সেখানে নাগরিকদের বায়ু দূষণের অভিযোগ জানানোর কথা বলে। এই অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল কাগজ পোড়ানো, আবর্জনা পোড়ানোএবং নির্মাণ কাজ ও শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত ধূলিকণা ইত্যাদি। দিল্লির বাসিন্দারা ওয়াল রুমে তাদের অভিযোগ জানান এবং অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকার পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়। গত বছর এই অ্যাপটি এন্ড্রয়েড ফোনে চালু করা হয়েছিল। এখন থেকে আইওএস ফোনগুলিতেও এই অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে বলে জানান মন্ত্রী গোপাল রাই। তিনি আরও বলেন, “এই অ্যাপটির মাধ্যমে ভালোভাবে কাজ করার জন্য তারা শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় এবং গভমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইম্প্যাক্ট যৌথ ভাবে একটি ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের দল গঠন করেছে। শীতকালে দিল্লিতে এমনিতেই বায়ুদূষণ বেড়ে যায়। তার প্রধান কারণ প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে খড় পোড়ানো হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় জলবায়ুর প্রভাব যার ফলে বাতাসের গতি কমে যায়। আর তাতেই দূষণ ছড়ায়। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শীতকালে বায়ু দূষণ রোধ করার জন্য একটি শীতকালীন কর্মপরিকল্পনার ঘোষণা করেন।