নয়াদিল্লি: কোভিশিল্ড (Covishield) ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে দেশে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) এবং সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালার গ্রেফতারির। এসব বিতর্কের মাঝেই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থেকে উধাও হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর ছবি। অ্যাস্ট্রাজেনেকা (Astrageneca) সংস্থার স্বীকারোক্তির জেরেই ছবি সরানো হল কি না তা নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। তবে সরকারি সূত্রের দাবি, লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Elections 2026) আদর্শ আচরণ বিধি পালন করতেই এই পদক্ষেপ।
তবে এই দাবি নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। মোদির ছবি সরানোর পদক্ষেপের সঙ্গে মিলছে না ২০২১ সালে কেরল বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে কেরালা হাইকোর্টের রায়। কোভিড-১৯ প্রতিষেধকের শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছবি কেন থাকবে, তা নিয়ে আবেদন জমা পড়েছিল। হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। বরং রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর উপর গর্ববোধ করার উপর জোর দেওয়া হয় সেই রায়ে৷
আরও পড়ুন: দেশে ফিরতে সময় চাইলেন দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্বল
কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক ঠিক কী?
ভারত সহ বিশ্বের বহু দেশের মানুষ অতিমারির (Pandemic) সময় কোভিশিল্ড (Covishield) টিকা নিয়েছিলেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Oxford University) সঙ্গে অ্যাস্ট্রাজেনেকা (Astrazeneca) সংস্থা একসঙ্গে কাজ করে এই প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছিল, যা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি হত। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, সম্প্রতি অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থা স্বীকার করেছে, কোভিশিল্ড টিকার এক বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে যার নাম টিটিএস (TTS)।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলা হয়েছে। সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের তৈরি কোভিশিল্ড টিকা থেকে টিটিএস বা থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপিনিয়া সিনড্রোম দেখা দিতে পারে। এই সিনড্রোমে রক্তবাহের মধ্যে রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং প্লেটলেট কমতে থাকে। এই অভিযোগ স্বীকার করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, তারা জানিয়েছে খুবই বিরল ক্ষেত্রে টিটিএস দেখা দিতে পারে। এই স্বীকারোক্তির জেরে কোটি কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী সংস্থাকে।
দেখুন অন্য খবর: