শ্রীনগর: সন্ত্রাসবাদ মুক্ত হওয়া অনেক দুরের কথা, উলটে ফের হিংস্র হচ্ছে ভুস্বর্গ। সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির পরের দিনেই কাশ্মীরে ঘটে গেল ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
আরও পড়ুন- বামেরা সংখ্যালঘু হতেই দেশে বেড়েছে দারিদ্রতা, দাবি ইয়েচুরির
শুক্রবার রাতের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে কাশ্মীরের বানিহাল এলাকায়। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই জন জখম হয়েছেন। যাদের বানিহাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- আকালের অভিযোগ উড়িয়ে টিকাকরণে সাফল্যের দাবি মোদির
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে ওই দিন গভীর রাতে কেঁপে ওঠে বানিহাল জেলার একটি জনবসতিপূর্ণ এলাকা। রাতের দিকে হওয়ায় জনসমাগম একটু কম ছিল। তবে ক্ষয়ক্ষতি কিছু কম হয়নি। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ এবং বাহিনী। ঘিরে রাখা হয়েছে বিস্ফোরণস্থল। এমনই জানিয়েছেন এসএসপি রামবান পিডি নিত্য।
আরও পড়ুন- হিমাচল প্রবেশে বাধ্যতামূলক আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট
অন্যদিকে, শুক্রবার বিকেলের দিকে এক অভিযান চালিয়ে দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে বাহিনী। রাজৌরির থানামান্ডিতে পুলিশ এবং সেনার যৌথ অভিযানে ওই জঙ্গিদের পাকরাও করা হয়। সেই সঙ্গে ধৃতদের থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র এবং ওষুধ উদ্ধার করা হয়। একই দিনে দুপুরের দিকে সাম্বা জেলার জঙ্গল থেকেও প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল।
গত বুধবার সংসদের উচ্চকক্ষে জম্মু-কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলা এবং এনকাউন্টার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ওই দফতরের প্রতিমন্ত্রী রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে জম্মু-কাশ্মীরের হিংসার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেছেন। যেখানে গত তিন বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া নানাবিধ হিংসার পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন- রাজীব গান্ধী খেলরত্নের পর নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের নাম বদলের উঠল দাবি
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন যে গত তিন বছরে ভারতীয় সেনা জওয়ান এবং পুলিশের পক্ষ থেকে ৪০০ এনকাউন্টার করা হয়েছে। ওই সকল এনকাউন্টারের কারণে ৬৩০ জন জঙ্গিকে খতম করতে সক্ষম হয়েছে বাহিনী। যা জঙ্গি দমনে ভারতের বড় সাফল্য বলেই মনে করা হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর ৮৫ জন সদস্য জঙ্গি হানার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী মহাশয়।