নয়াদিল্লি: করোনার ধাক্কায় বেসামাল বিশ্ব। যার বড় প্রভাব পড়েছে ভারতে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে ভারতে। টিকাকরণ চালু হলেও তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। পর্যাপ্ত টিকার জোগান না থাকার অভিযোগ উঠেছে। এরই মাঝে টিকাকরণ নিয়ে সাফল্যের সুর শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়।
আরও পড়ুন- হিমাচল প্রবেশে বাধ্যতামূলক আরটি-পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট
শুক্রবার রাতের দিকে করোনা টিকাকরণ নিয়ে নয়া দাবি করেছেন মোদি। দেশের বিপুল মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন যে ভারতের সকল ব্যক্তিকে করোনার টিকা দেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
আরও পড়ুন- দাবি মানল রাজ্য, আন্দোলন প্রত্যাহার করছেন নার্সরা
ওই দিন রাতের দিকে নিজের এই অভিমত সোশ্যাল মিডিয়া মারফত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, “অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ভারত করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করছে। ৫০ কোটির বেশি টিকা প্রয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। আশা করব আই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে ‘সবাইকে বিনামূল্যে টিকাকরণ’ প্রকল্পের অধীনে টিকা দেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন- নিরাপত্তায় জোর, শহর জুড়ে বসছে সিসিটিভি
প্রধানমন্ত্রী দাবি করলেও টিকার হাল যে বেহাল তা বলাই বাহুল্য। কারণ কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড এই দুই প্রকারের টিকা ভারতে দেওয়া হয়েছে। অল্প সংখ্যক মানুষ স্পুটনিক-ভি নিয়েছেন, তবে সেই সংখ্যা অনেক কম। যারা কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ এখনও গ্রহণ করেননি তারা বেজায় বিপাকে পড়েছেন। কারণ দ্বিতীয় ডোজ বাজারে অমিল। আবার কোভ্যাক্সিনকে বৈধতার স্বীকৃতি দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যার জেরে প্রবাসী ভারতীয়দের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এই নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে।
অন্যদিকে, কোভিশিল্ড নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। বৈধতার শংসাপত্র পেলেও টিকার আকাল দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম টিকা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশে বিপুল সংখ্যায় টিকা দেওয়া হয়েছে বলে মমতার বক্তব্য, “কেউ বেশি পেলে আমাদের সমস্যা নেই। কিন্তু বাংলাকে যেন বঞ্চিত না করা হয়।”
আরও পড়ুন- জমি বিবাদে পড়শি বৃদ্ধকে হেনস্থা দুই বিজেপি নেতার
পালটা বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে বাংলাকে বঞ্চনার কোনও প্রশ্নই উঠছে না। টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। সুতরাং তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই রাজনৈতিক তরজার মাঝেই টিকাকরণে রেকর্ড গড়ার দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী।