নয়াদিল্লি: তদন্তের স্বার্থে সমন পাঠালে দিল্লিতে অবস্থিত ইডি-র দফতরেই যেতে হবে। সেখানে গিয়েই তদন্তকারী সংস্থার কর্তাদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরাদেবীর উদ্দেশ্যে এমনই নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
কয়লা পাচার এবং সেই টাকা বিদেশের ব্যাংকে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছল তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও। এই নিয়ে তুমুল আলোচনা হয় বিধানসভা নির্বাচনের আগে। ভোটের পরে সস্ত্রীক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কয়লা পাচার কাণ্ডে জেরার জন্য তলব করা হয়।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির সমন পেয়ে দিল্লিতে গিয়েছিলেন অভিষেক। দীর্ঘ সময়ে তাঁকে ইডি কর্তাদের জেরার মুখোমুখি হতে হয়। যদিও সেই তলব এড়িয়ে যান রুজিরাদেবী। প্রাথমিকভাবে রুজিরাদেবী জানিয়েছিলেন যে তাঁর শিশু সন্তান রয়েছে। করোনাকালে সন্তান নিয়ে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। ইডি-র বিরুদ্ধে আদালতে যান অভিষেক-রুজিরা। কলকাতায় ইডি দফতরে যাতে তাঁদের হাজিরার ব্যবস্থা কড়া হয় সেই দাবি করেছিলেন ওই দম্পতি। কোনওভাবেই হাজিরার জন্য দিল্লিতে তলব করতে পারবে না ইডি। এই মর্মেই মামলা চলছিল দিল্লি হাইকোর্টে।
আরও পড়ুন- মাটি খুঁড়ে পাওয়া সোনা ও মোহর কোথায়? জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট
অভিষেক-রুজিরার হয়ে আদালতে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবল। তিনি আদালতে বলেন, “মামলাকারী দম্পতি কলকাতার বাসিন্দা। সে বিষয়ে অভিযোগ এবং তদন্ত সেটাও পশ্চিমবঙ্গ আইনব্যবস্থার মধ্যে পড়ে। সুতরাং, তাদের কলকাতায় হাজিরা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হোক।” পালটা ইডি-র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লির সাউথ অ্যাভেনিউতে বাড়ি রয়েছে। সাংসদ হওয়ার কারণে তাঁকে দিল্লি আসতেই হয়। তাই দিল্লিতে জেরার মুখোমুখি হতে তাঁর সমস্যা রয়েছে তা প্রমাণিত হয় না।”