কলকাতা: মাটি খুঁড়ে পাওয়া সোনা ও মোহর কোথায়? জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পুলিশকে হলফনামা আকারে সমস্ত তথ্য জানাতে হবে হাইকোর্টকে। জমা দিতে হবে তালিকাও।
গত ১১ জুন মালদহের মহিদিপুরে একটি পুকুর খোঁড়ার কাজ চলছিল। হাঠাৎ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হয় প্রাচীন যুগের মাটির জিনিস, সোনার গহনা ও সোনার মোহর। খবর যায় মালদহের ইংলিশ বাজার থানায়। কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারী সৈয়দ নাফিরুল ইসলামের অভিযোগ, ইংলিশ বাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মদনমোহন রায়ের নির্দেশে ঘটনাস্থল থেকে কিছু সোনার মোহর সিজ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন – মা ও তার প্রেমিক সুচ ঢুকিয়ে হত্যা করেছিল মেয়েকে, ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত
আবেদনকারী আদালতে দাবি করেন, নিয়মানুযায়ী প্রাচীন যুগের কোনও জিনিস মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হলে সেই সব জিনিসের ভিডিওগ্রাফি করতে হয়। স্থানীয় লোক অথাৎ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নিতে হয়। জানতে হয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশ কিছুই করেনি। এছাড়াও অতিরিক্ত ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ ( আইনশৃঙ্খলা) অফিসার ইনচার্জ মদন মোহন রায়কে চলতি বছরে ৬ মে লিখিত ভাবে ক্লোজড অথবা শাস্তিমুূলক বদলি করা হয় । ১৭ মে অতিরিক্ত ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ ( আইনশৃঙ্খলা) তাঁকে কলিয়াচক থানায় স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। এখানে প্রশ্ন উঠছে ৬ মে থেকে ক্লোজার থাকা অবস্হায় ওই অফিসার ইনচার্জ কী করে মোহর সিজ করেন?
আরও পড়ুন- দুয়ারে রেশন নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চেও স্বস্তি রাজ্যের
এরপর বিষয়গুলি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নজরে আসার পর পুলিশের কাছে জানতে চ্ওয়া হয় সোনার গহনা, সোনার মোহর ও মাটির জিনিস কোথায় গেল? যদিও রাজ্যের আইনজীবী দাবি করেন এই মামলাটি গ্রহনযোগ্য নয়। তবে আদালত এই বিষয়ে আমল দেয়নি। বরং পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয় উদ্ধার হওয়া গহনা ও জিনিসের তালিকা এবং সেগুলি কোথায় আছে তা হলফনামার আকারে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে।