কলকাতা: যাঁরা পাহাড়কে একবার ভালোবেসে ফেলেছেন, তাঁদের কাছে আর অন্য কোনও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের হাতছানি সেভাবে কার্যকর হয় না। পাহাড়ের বিশালতা আর সৌন্দর্যে মিশে থাকে এক রহস্যময় রোমাঞ্চ। আর পাহাড়প্রেমীদের সেই রোমাঞ্চই বার বার ডাকে। কিন্তু পাহাড় বলতে অনেকেই বোঝেন হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড আর কাশ্মীর। এবার একটু উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে যেতে পারেন। অসম, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মণিপুর, মেঘালয় রাজ্যগুলি যেন এক একটি রূপকথার রাজ্য। তবে, মেঘালয়ের কিছু স্থান পর্যটকদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই দেরি না শীতে বন্ধুরা মিলে বেড়িয়ে পড়ুন এই অফবিট জায়গাতে, যেখানে গিয়ে আপনি নিজের হাতে মেঘ ছুঁয়ে ফিরে আসতে পারবেন।
ছবির মতো সুন্দর রাজ্য মেঘালয়। এই দেশে মেঘেরা যেন রাস্তা দিয়ে হেঁটে বেড়ায়। মেঘ বালিকারা ছুটে চলে যায় মাঠ-ঘাট দিয়ে। মেঘের ভেলায় চড়ে সবাই ভেসে বেড়ায় বাতাসে। মেঘালয় ভ্রমণের কথা উঠলে প্রথমেই মনে আসে চেরাপুঞ্জি বা শিলং-এর নাম। কিন্তু এই রাজ্যেরই ‘নংজরং’ গ্রামটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একেবারে নৈসর্গিক। সবুজে ঘেরা একটি ছোট্টো গ্রাম হল ‘নংজরং’। গ্রামের পথে দাঁড়িয়ে একটু উপরের দিকে তাকালে সহজেই মেঘ ছুঁতে পারবেন। বর্তমানে এই জায়গাটি ধীরে ধীরে পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন: দার্জিলিং-কালিম্পং নয়, ঘুরে আসুন অজানা এই হিলস্টেশন থেকে
এখানকার সুন্দর উপত্যকা আর পাহাড় দেখে আর বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করবে না। মনে হবে এই গ্রামেই একটা ছোটো ঘর বানিয়ে ফেলি। সুন্দর সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের সময় এই জায়গাটি আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। এই গ্রামে মোটামুটি আধ ঘণ্টা ট্রেক করার পরে আপনি নংজরং ভিউ পয়েন্টে পৌঁছে যাবেন। তবে এখানে যাওয়ার আগে অবশ্যই একটি জলের বোতল এবং শুকনো খাবার সঙ্গে নিয়ে যাবেন। তবে এখানে যাওয়ার আগে অবশ্যই একটি জলের বোতল এবং শুকনো খাবার সঙ্গে নিয়ে যাবেন। খাবার থেকে শুরু করে থাকার জায়গা, এখানে ভ্রমণে কোনও সমস্যা হবে না। এছাড়া এই জায়গাটাও বেশ বাজেট ফ্রেন্ডলি। নংজরং ভ্রমণের সেরা সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
কীভাবে যাবেন? গুয়াহাটি বিমানবন্দর বা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাতে পারেন এবং সেখান থেকে আপনি নংজরং পৌঁছানোর জন্য একটি ট্যাক্সি ভাড়া করতে পারেন। গুয়াহাটি এবং নংজরং- এর মধ্যে দূরত্ব প্রায় ১৪৪ কিলোমিটার এবং গাড়ি করে সেখানে পৌঁছোতে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। এছাড়াও আপনি গুয়াহাটি বা শিলং বিমানবন্দর থেকে শিলং শহরে পৌঁছাতে পারেন। সেখান থেকে আপনি নংজংরং যাওয়ার জন্য ক্যাব পাবেন। শিলং শহর থেকে নংজরং গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার এবং গাড়িতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে। এবং শিলং বিমানবন্দর থেকে নংজরং গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার এবং গাড়ি করে যেতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘণ্টা।
দেখুন আরও অন্য খবর