কলকাতা: রাজ্য মানবধিকার কমিশনের (Bengal Human Right Commission) এক সদস্য মনোনয়নের জন্য বৈঠক ডাকা হল ১৪ ডিসেম্বর। তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ওই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না বলেই তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের খবর। রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়ের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াতেই তাঁর জায়গায় নতুন সদস্য মনোনীত করতে হবে। সেই কারণেই কমিশনের বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই পদের জন্য তিন জন আবেদন করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন জেলা বিচারক পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন আইপিএস অফিসার অধীর শর্মা। এই তিন জনের মধ্যে থেকে যে কোনও এক জনকে মনোনীত করবে বাছাই কমিটি।
আরও পড়ুন: চা বাগানে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের শিবির
আইন মোতাবেক মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মনোনয়নের জন্য যে তিন সদস্যের বাছাই কমিটির রয়েছে, তার চেয়ারম্যান হওয়া উচিত কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কিংবা কোনও কর্মরত বিচারপতির। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূল সরকার কোনও আইনকানুন মানেনা বলে বাছাই কমিটির চেয়ারপার্সনের পদ আগলে বসে আছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কারণেই বিরোধী দলনেতা এ ধরনের বৈঠক গুলিতে হাজির থাকতে চান না। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, রাজ্য মানবধিকার কমিশন কার্যত রাজ্য সরকারের হাতের পুতুল হয়ে বসে রয়েছে। রাজ্যে মানবধিকার লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ উঠলেও কমিশন নড়েচড়ে বসে না। কোনও ঘটনায় কোনও প্রতিক্রিয়াও দেয় না তারা। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন বলে যে কোনও স্বশাসিত সংস্থা আছে, তৃণমূল আমলে তা বোঝাই দুষ্কর। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, রাজ্য মানবধিকার কমিশন রাজ্য সরকারের বশংবদ সংস্থায় পরিণত হয়েছে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। শুধু মানবধিকার কমিশনই নয়, রাজ্য মহিলা কমিশন, রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের মতো সব সংস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া চলে না। এই সব সংস্থার অস্তিত্বই তৃণমূল আমলে সঙ্কটের মুখে।
দেখুন আরও খবর: