কলকাতা: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ২০০৯ সালে বাম জমানায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য তৈরি প্যানেল ২০১১ সালে বাতিল করে দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। তখন থেকে ওই প্যানেলভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা চাকরির দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। হাইকোর্টেও তাঁরা মামলা করেন। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট ওই প্যানেল বাতিলের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল। আদালতের নির্দেশ, দুসপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ওই তালিকা ফের প্রকাশ করে নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
এর আগে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং মালদহ জেলায় আদালতের হস্তক্ষেপেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছে। বাকি ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৬৩২টি শূন্যপদে নিয়োগ। দীর্ঘ কয়েক বছর আন্দোলনের পর আদালতের এই রায়ে খুশি মামলাকারীরা।
আরও পড়ুন: Online App Scam: অনলাইন অ্যাপ কাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০০৯ সালে বাম জমানায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়ারা পরীক্ষা দেন। সেই পরীক্ষা হয় ২০১০ সালের ৪ জুলাই। ২০১১ সালে পালাবদলের পর গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেয় তৃণমূল সরকার। পরে সরকারি তরফে বলা হয়, পিটিটিআই ট্রেনিং না থাকলে পরীক্ষায় বসা যাবে না। পরবর্তীকালে এ নিয়ে মামলা হয়। পাশাপাশি চলে আন্দোলনও। গত ৩৭ দিন ধরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পুজোর সময়ও তাতে ছেদ পড়েনি। চাকরিপ্রার্থীরা নবান্ন অভিযান থেকে শুরু করে কালীঘাট অভিযান, গণস্বা্ক্ষর সংগ্রহ, মুখ্যমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, রাজ্যপাল, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্য ও কেন্দ্রের শিক্ষামন্ত্রী-সহ অনেকের কাছেই দরবার করেন। মামলার শেষ শুনানি হয় গত ২৯ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের ডিভিশন বেঞ্চে। রায়দান স্থগিত ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সেই পুরনো প্যানেল নতুন করে প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন।