লখনউ: উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সাফল্যের বিজ্ঞাপনে কলকাতার মা উড়ালপুলের ছবি নিয়ে দিনভর উপহাস চলছে৷ এরই মাঝে রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এক মন্তব্যে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ তিনি নাম না করেই মুসলিম সম্প্রদায়কে আক্রমণ করেছেন৷ যোগী আদিত্যনাথের দাবি, ২০১৭ সালের আগে ‘কেবল মাত্র আব্বা জান’ বলা লোকজনই সরকারি রেশন পেত৷ এই বক্তব্যে, শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায় নয়, অখিলেশ যাদবকেও আক্রমণ করেছেন যোগী৷
#WATCH | Under PM Modi leadership, there is no place for appeasement politics….Before 2017 was everyone able to get ration?….Earlier only those who used to say 'Abba Jaan' were digesting the ration: Uttar Pradesh Chief Minister Yogi Adityanath in Kushinagar pic.twitter.com/CPr6IMbwry
— ANI UP/Uttarakhand (@ANINewsUP) September 12, 2021
উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে এক অনুষ্ঠানে আদিত্যনাথ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কোনও প্রকার তোষণের রাজনীতি নেই…….২0১৭ সালের আগে কি সকলে রেশন পেত? যারা আব্বাজান বলে তারাই শুধুমাত্র রেশন পেত৷’
আরও পড়ুন- বিজ্ঞাপন বিভ্রাট: বাংলার উন্নয়নের প্রচারে যোগী সরকারকে ‘ফ্রি আইডিয়া’ ডেরেকের
‘আব্বা জান’ একটি শব্দবন্ধ৷ যা বেশিরভাগ মুসলিম ছেলে-মেয়েরা নিজের বাবাকে সম্বোধন করতে ব্যবহার করে থাকে৷ হিন্দু পুরোহিত তথা মুখ্যমন্ত্রী যোগী এরআগে বহুবার এমন বিভক্তিমূলক বিবৃতি দিতে লক্ষ্য করা গেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদবের পুত্র প্রতিদ্বন্দ্বী অখিলেশ যাদবকে লক্ষ্য করেও কেউ কেউ এমন মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন-ফিরোদাবাদে ‘হেমোরহেজিক’ ডেঙ্গুতে মৃত ৬০, প্রিয়াঙ্কার নিশানায় যোগী প্রশাসন
গত মাসে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময়ও এরকম বিদ্রুপ মন্তব্য করেছিলেন৷ ভ্যাকসিন প্রদান নিয়ে তিনি বলেছিলেন, অনেকেই আব্বাজান বলা লোকজন ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ভ্যাকসিন নিচ্ছেন৷ যোদীর এই মন্তব্যে বিরোধীরা সরব হয়েছিল৷
এ দিন যোগীর আরও দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদি গোটা দেশের রাজনৈতিক সংজ্ঞা বদলে দিয়েছেন৷ বিশেষ করে যে রাজনীতি ১৯৪৭ সালে জাতপাত,ধর্ম এবং ভাষার ভিত্তিতে শুরু হয়েছিল৷ সেই রাজনীতি গরিব, চাষি, যুবক, মহিলা, শিশু-র জন্য বদল করেছেন৷
আরও পড়ুন-মুজফফরনগর দাঙ্গা: কোনও কারণ ছাড়াই ৭৭ মামলা তুলে নিল যোগী সরকার
প্রধানমন্ত্রী মোদি মন্ত্রিসভায় সুবিধাবঞ্চিত জাতিগুলির অভূতপূর্ব সংখ্যক সদস্যকে বেছে নেওয়ার পরই এমন মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে অনেকেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ শুধু তাই নয়, ভূপেন্দ্র প্যাটিলকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী করা আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করা হচ্ছে৷