লখনউ: মুজফফরনগর দাঙ্গার মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়৷ তখনই জানা গেল, এই মামলা সংক্রান্ত আরও ৭৭টি কেস প্রত্যাহার করে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এই পদক্ষেপ নতুন নয়৷ এর আগেও মুজফফনগর মামলাগুলি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছিল তারা৷ কিন্তু এবার কোনও কারণ না দেখিয়েই ৭৭টি মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার৷ মঙ্গলবার এমনটাই জানায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের তিন সদস্যের বেঞ্চ৷
২০১৩ সালের অগস্ট মাসের ঘটনা৷ অভিযুক্তদের উস্কানিমূলক ভাষণের পর উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে সংঘর্ষে জড়ায় দুই সম্প্রদায়ের মানুষ৷ ওই ঘটনায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছিলেন৷ যার মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন৷ পাশাপাশি, ওই দাঙ্গায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরাবাড়ি হারিয়েছিলেন৷ সেই ঘটনায় পাঁচটি জেলাজুড়ে মোট ৫১০টি মামলা দায়ের হয়েছিল৷ অভিযুক্ত ছিলেন ৬,৪৬৯ জন৷
আরও পড়ুন: মোদিকে চড় মারার কথা বললে দেশদ্রোহে মামলা শুরু হয়ে যেত : শিবসেনা
ওই ৫১০টির মধ্যে ১৭৫টি কেসে চার্জশিট জমা দিয়েছিল পুলিশ৷ ১৬৫টি কেসের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়েছিল এবং ১৭০টি মামলা তুলে নেওয়া হয়েছিল৷ পরবর্তীকালে সিআরপিসি-র ৩২১ ধারায় রাজ্য সরকার আরও ৭৭টি মামলা প্রত্যাহার করে নেয়৷ এই মামলার অন্যতম প্রবীণ আইনজীবী বিজয় হানসারিয়া বলেন, সরকার কয়েকটি নির্দিষ্ট মামলা প্রত্যাহার করেছে৷ যেগুলি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৯৭ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারত৷ এবার হাইকোর্ট মনে করলে সিআরপিসি-র ৪০১ ধারা মোতাবেক সরকারের সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত কিনা খতিয়ে দেখতে পারে৷
আরও পড়ুন: চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেল্টা প্লাস, মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত ২৭ জন
মুজফফরনগর দাঙ্গা মামলায় রেহাই পান সাধ্বী প্রাচী, বিজেপি নেতা সুরেশ রানা, সঙ্গীত সোম, উমেশ মালিক-সহ অন্তত ৩০ জন। ওই মামলায় বিজেপি নেতারা ছাড়াও অভিযুক্ত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ভারতেন্দ্র সিং৷ অভিযুক্তরা মামলা থেকে রেহাই পেয়ে যাওয়ায় সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা৷ সমাজবাদী পার্টি জানিয়েছিল, এমন ঘৃণ্য কাজে জড়িত থাকার পরেও অভিযুক্তরা ছাড়া পেলে সমাজের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছবে৷