নয়াদিল্লি: শেষ বিমানে কাবুল থেকে দিল্লি ফিরেছেন ৪০ জন৷ তাহলে আর কতজন ভারতীয় নাগরিক আটকে রইলেন আফগানিস্তানে? উত্তর জানা নেই কেন্দ্রের৷ তবে সরকারের আশা, ভারতে ফিরতে চাওয়া অধিকাংশকেই দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে৷ এর পর কেউ আফগানিস্তানে থাকলেও থাকতে পারে৷ সেই সংখ্যাটা কত হতে পারে তা জানা নেই কেন্দ্রের৷ শুক্রবার স্বীকার করে নিলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি৷
১৫ অগস্ট কাবুলের পতনের পরই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে ‘মিশন দেবী শক্তি’ চালু করে সরকার৷ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, এই ক’দিনে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে দিল্লি পৌঁছন ৫৫০ জন৷ যাঁদের মধ্যে ২৬০ জন ভারতীয়৷ এছাড়া আফগান শিখ, হিন্দু এবং নেপালের বাসিন্দারাও রয়েছেন৷ অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘সংখ্যাটা বারবার বদলাচ্ছে৷ সব মিলিয়ে আমাদের ধারনা অধিকাংশ ভারতীয়কে উদ্ধার করা গিয়েছে৷ কেউ কেউ আফগানিস্তানে থাকতেও পারে৷ আমার কাছে সেই সংখ্যাটা নেই৷ তবে আমরা পরিস্থিতির উপর খুব সতর্কভাবে নজর রাখছি৷’
আরও পড়ুন: বৈধ কাগজ থাকলে বিদেশ পাড়িতে বাধা নেই, আশ্বাস তালিবানের
রাতারাতি সরকার ফেলে দিয়ে আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবান৷ তার পর আফগানিস্তান ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে৷ অনেক শিখ ও আফগান নাগরিক ভারতে আশ্রয় চেয়েছেন৷ এ ব্যাপারে অরিন্দম বাগচি বলেন, তাঁদের জন্য ৬ মাসের এমার্জেন্সি ই-ভিসা ঘোষণা করা হয়েছে৷ তবে আমরা খবর পেয়েছি অনেক আফগান নাগরিকের বিমানবন্দরে পৌঁছতে অসুবিধা হচ্ছে৷ ২৫ অগস্ট বেশ কয়েকজন আফগান নাগরিক, শিখ ও হিন্দুরা সময়মত বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারেনি৷ তাঁদের ছাড়াই দেশে ফিরে এসেছে বায়ুসেনার বিমান৷ এখনও পর্যন্ত ছ’টি বিমানে ৫৫০ জনকে কাবুল অথবা দুশানবে হয়ে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে৷ উদ্ধারকারীদের মধ্যে ২৬০ জন ভারতীয়৷ অন্য এজেন্সিদের সাহায্যেও ভারতীয়দের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার৷ আমেরিকা ও তাজিকিস্তানের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি৷