কাবুল: বৈধ কাগজপত্র থাকলে আগামী দিনে আফগানিস্তান থেকে বিদেশে পাড়ি দিতে পারবেন আফগান নাগরিকেরা। শুক্রবার নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই জানালেন তালিবান মুখপাত্র মুহাম্মদ শোহেল শাহিন। তারপর বিষয়টি নিজের টুইটারেও তুলে ধরেন কট্টরপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠীটির মুখপাত্র। কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের অসামরিক বিভাগটি খোলা হলে তবেই এই নতুন পরিষেবা চালু হবে বলে জানানও হয় তালিবানের পক্ষ থেকে। আর এই ঘোষণায় আগের অবস্থান থেকে তালিবান কিছুটা হলেও সরে এল বলে মনে করছে কূটনৈতিকমহল।
আরও পড়ুন: তালিবানি কায়দায় ভারতের মন্দির ধ্বংসের পরিকল্পনা, গ্রেফতার ১ বাংলাদেশী
3/3
The IEA delegation reiterated that every Afghan with legal documents can travel abroad and proper facilities will be provided to all Afghans for their travel after the opening of the civilian part of the Airport.— Suhail Shaheen. محمد سهیل شاهین (@suhailshaheen1) August 27, 2021
তালিবান কাবুল দখল করার পর থেকেই আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে দেশ ছাড়তে উদগ্রীব হয়ে ওঠে আফগান নাগরিকেরা। শিশু কোলে নিয়ে আট থেকে আশি সকলেই বিমান বন্দরে গিয়ে জড়ো হন। মাঝ আকাশে চলন্ত বিমান থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় কয়েকজনের। সেই দৃশ্য দেখে রীতিমতো শিউরে ওঠে গোটা বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে বহু আফগান নাগরিককে নিজেদের দেশে নিয়ে যায় আমেরিকা। আফগানদের আতঙ্ক দেখে মানবাধিকার রক্ষার জন্য তালিবানের কাছে অনুরোধ জানায় পশ্চিমী শক্তিজোটগুলি। দেশ ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে আফগানদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে সম্মান দিতে তালিবানকে আর্জি জানায় রাষ্ট্রসঙ্ঘ। শুক্রবার কট্টরপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠীটির তরফে অবশেষে এই আশ্বাস মেলায় কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিকমহল।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণের জের! দ্রুত আফগানিস্তান ছাড়ার সিদ্ধান্ত ব্রিটেনের
যদিও ‘আশ্বাস’ মিললেও তাতে ‘বিশ্বাস’ করার মতো পরিস্থিতি কবে তৈরি হবে তা নিয়ে এখনও সন্দিহান কূটনৈতিকমহল। কারণ আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি। গতকাল বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ সেই আশঙ্কাকে আরও তীব্রতর করেছে। এমন পরিস্থিতিতে আফগানদের ভাগ্য কতটা শিকে ছেড়ে সেটাই দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব।