কলকাতা: বাবুলকে ছাড়া আসানসোল বা বিজেপির কী হবে? এই প্রশ্নের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কী বলবেন দলত্যাগী বাবুল? যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে জাতীয় এবং রাজ্য রাজনীতির অন্দরে।
শনিবার বিকেলের দিকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় যোগ দেন তৃণমূলে। ঘাস ফুল শিবিরের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান বাবুলকে। এরপরে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বাবুল।
সেই সময়েই নানাবিধ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তৃণমূলের নবাগত সদস্যকে। সেই সঙ্গে অতীতে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ করা নিয়েও প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন সাংবাদিকেরা। যা নিয়ে যথেষ্ট বিব্রত দেখা যায় আসানসোলের দুইবারের সাংসদকে। অনেক প্রশ্নের উত্তর দিলেও বাবুলের সাংবাদিক সম্মেলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন- ‘আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো’, বাবুলের দলত্যাগে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর
পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজেই সক্রিয় হন বাবুল সুপ্রিয়। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা সমস্ত প্রশ্ন গুছিয়ে নিয়ে আসুন। আমি উত্তর দেব।” সেই উত্তরের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। কী বলবেন মোদি সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী? পুরনো দলের বড় কোনও গোপন তথ্য ফাঁস করবেন? এই সকল নানাবিধ জল্পনা ঘুরছে রাজনীতির অন্দরে।
আরও পড়ুন- বাবুলের দল বদলের দিনেই কেন্দ্রের সমালোচনা বিজেপি বিধায়ক হিরণের
সাংবাদিক বৈঠকে দ্রুততার সঙ্গে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। যা নিয়ে আবার পালটা প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক। তিনি বলেছেন, “বাবুল সুপ্রিয় ১০ মিনিটের মধ্যে ১২টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। গত সাত বছরেও এত প্রশ্নের উত্তর দিতে দেখা যায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।”