কলকাতা: দলবদল করে তৃণমূলে যাওয়া বাবুলের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে শুভেন্দুর। তাঁরা দু’জনে খুব ভালো বন্ধু। শনিবার বিকেলের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজেই একথা জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল রাজনৈতিক ব্যক্তিদের দলবদল। ভোটের আগে থেকে শুরু হয়ে পরেও তা জারি রয়েছে। তবে ছবি পালটে এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক শুরু হয়েছে। শনিবার বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। যদিও এতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না বলেই দাবি করছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
২০১৪ সাল থেকে বিজেপির সঙ্গে ছিলেন বাবুল। দুই দফায় আসানসোলের সাংসদ হয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁর কাঁধে। সেই মন্ত্রিত্ব কেড়ে নিতেই গোসা হয় বাবুলের। রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। পরে তা বাস্তবায়িত হল শনিবার বিকেলের দিকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পতাকাতলে যান বাবুল।
আরও পড়ুন- বাবুলের দল বদলের দিনেই কেন্দ্রের সমালোচনা বিজেপি বিধায়ক হিরণের
যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, “বাবুল সুপ্রিয়-র দল ছাড়াতে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। তিনি কোনও বড় জননেতা ছিলেন না। দক্ষ সংগঠকও ছিলেন না।” সেই সঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আরও বলেছেন, “দল ছাড়ার আগে বিজেপির নেতৃত্বকে বাবুলের জানানো উচিৎ ছিল।”
আরও পড়ুন- ফের দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে কলকাতা, বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যা
বিজেপিতে নাম লেখানোর পরে বিভিন্ন সময়ে একমঞ্চে দেখা গিয়েছে বাবুল এবং শুভেন্দুকে। একে অপরকে প্রিয় বন্ধু বলে জাহির করেছেন। দুই জনেরই জন্মতারিখ একই দিনে। যা একাধিকবার শোনা গিয়েছে শুভেন্দুর মুখে। সেই বিষয়টি উল্লেখ করে শনিবার নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেছেন, “আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো। বাবুল আমার খুব ভালো বন্ধু।”
আরও পড়ুন- দ্যাখ কেমন লাগে, বাবুলের দলবদল নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ কুণালের
আগামী সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে বাবুলের। তারপরে লোকসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি। এমনই জানিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ। অন্যদিকে, বাবুলহীন আসানসোলে রণকৌশল স্থির করতে সোমবার বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপি। কর্মীদের নিয়ে ডাকা ওই বিশেষ বৈঠকে শুভেন্দুর হাজির থাকার কথা রয়েছে।