দুটি টিকা নেওয়ার পরেও কতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সেই তথ্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। করোনা সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই তথ্য জানতে চেয়েছে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি হলফনামা দেওয়া হয়। এই হলফনামায় বলা হয়েছে, প্রথম থেকে শুরু করে অগস্ট মাস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে ২৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫৬০টি টিকা দিয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করেছিল রাজ্য সরকার। প্রায় ১৮০টি আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে ১০১ জনকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রসেসিংয়ে আছে ৯টি আবেদন। উপযুক্ত নথির অভাবে এখনও পর্যন্ত ৭৭টি আবেদনের কোনও ফয়সালা হয়নি।
আরও পড়ুন : জমে থাকা ফৌজদারি মামলার হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের মধ্যে যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৩০ হাজার ৮৯৩ জন। এই ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ১২,৩৪৪ টি। যার মধ্যে ৯, ১৯০ জন ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন। এখনও ৩,৩৬৩ জনের এই টাকা পাওয়া বাকি আছে। উপযুক্ত নথির অভাবে এখনও পর্যন্ত ১৪ হাজার ৯১৯ জন টাকা পাননি।
বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যা দেওয়া হচ্ছে তা সঠিক নয়।
একজন আবেদনকারী পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, মানসিক ভারসাম্যহীন যারা, বা যারা বাইরে রয়েছেন তাঁদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হুগলিতে টিকাকরণের বিষয়ে আবেদনকারীর এই প্রস্তাবের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৩.২৩ লক্ষ মানুষকে টিকাকরণ করা হচ্ছে। যার মধ্যে শহরাঞ্চলে ১.৩৬ লক্ষ এবং গ্রামাঞ্চলে ১.৮৬ লক্ষ মানুষের টিকাকরণ হয়েছে।
আরও পড়ুন : টিকাকরণের ভিত্তিতে দেশের অন্যান্য শহরের থেকে এগিয়ে কলকাতা
এর পরেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চান, দুটো টিকা নেওয়ার পরেও কতজন এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, এই তথ্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে থাকা উচিৎ। আগামী ২৫ অগস্ট এই তথ্য দুই সরকারকেই আদালতে পেশ করতে হবে। অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল আদালতে জানান, এই ধরণের তথ্য আইসিএমআরের পোর্টালে রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, এক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগী হওয়া দরকার। কারণ টিকা গ্রহণের সময় প্রত্যেক মানুষেরই আধার কার্ড লিঙ্ক করা রয়েছে। সুতরাং যারা দুটি টিকা নেওয়া হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে সরকারের অনুসন্ধান করা দরকার।