কলকাতা : কি কারণে বছরের পর বছর মামলা পরে আছে? কেন নিষ্পত্তির সংখ্যা খুব কম? রাজ্যের কাছে কৈফিয়ত তলব ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। পরের মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : বকেয়া বেতন না দিলে নাম কাটা যেতে পারে পড়ুয়াদের, আদালতের নির্দেশে চাপে অভিভাবকরা
রাজ্যের বিভিন্ন আদালতে জমা রয়েছে ফৌজদারি মামলা। রাজ্য পুলিশের রিপোর্টে খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। যে কারণে হাইকোর্ট ফের রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিল। কসমেটিক্স ড্রাগসের মামলার হাল-হকিকত জানাবে রাজ্য। নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্যে জমে থাকা ফৌজদারি মামলার পাহাড় জমছে। শুধু কলকাতা হাইকোর্ট নয়, রাজ্যের বিভিন্ন নিম্ন আদালতে চার্জশিট জমা দিতে দেরি করছে রাজ্য। দাবি করে সুয়োমোটো মামলা রুজু করে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে রাজ্য আদালতের নির্দেশ মেনে একটি রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেয়। সেখানে রাজ্য পুলিশের রিপোর্ট এবং সিআইডি রিপোর্টে বিস্তর ফারাক রয়েছে। কসমেটিক্স ড্রাগস, জাতীয় জিনিসের রিপোর্ট কে দেবে তাই নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে রাজ্য পুলিশের মধ্যে। রাজ্যের দাবি, অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে, যারা তদন্ত করছে। যা শুনে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি। “আমরা ডিপার্টমেন্ট দেখব না। আপনি রাজ্যের হয়ে সওয়াল করছেন।” তদন্তের গতি শ্লথ সংক্রান্ত স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি ছিল ছিল মঙ্গলবার। সঠিক সময়ে চার্জশীট জমা না দেওয়া মামলার সংখ্যা ২৭,২৬৭। রাজ্যের সব আদালত থেকে পাঠানো রিপোর্ট তাই বলছে। এমনকী, কয়েকটি জঘন্য অপরাধ মূলক মামলাতেও সঠিক সময়ে চার্জশিট দেওয়া হয়নি। সরকার রিপোর্ট দিয়ে বলছে, এমন মামলার সংখ্যা ৯৯৯টি। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানান, এটা রাজ্য পুলিশের একটি অংশ সুতরাং রাজ্যের দায়িত্ব এই বিষয়ক জমে থাকা মামলার রিপোর্ট রাজ্যই দেবে। তাই রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে এই ধরণের জমে থাকা মামলার তালিকা। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি আছে।