কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বিপাকে অভিভাবকরা৷ বকেয়া স্কুল ফি সংক্রান্ত মামলায় বেসরকারি স্কুলগুলির পাশে দাঁড়াল আদালত৷ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, দু’বছরের বকেয়া বেতনের অন্তত ৫০ শতাংশ জমা দিতে হবে অভিভাবকদের৷ না দিলে স্কুলগুলিকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
আরও পড়ুন: নাম না করে অমিত শাহকে তোপ প্রধান বিচারপতি রামানার
এদিন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে বকেয়া স্কুল ফি সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হয়৷ ডিভিশন বেঞ্চ স্কুলগুলির পক্ষ নিয়েই জানায়, অভিভাবকদের আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া বেতনের ৫০ শতাংশ জমা দিতে হবে৷ নইলে সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ গ্রহণ করতে পারবে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ হাইকোর্ট জানিয়েছে, যদি ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্দেশিত টাকা না মেটানো হয়, সেক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করতে পারে। তার নাম অনলাইন ক্লাস থেকে বাদ পড়তে পারে৷ এমনকি জরিমানা করতে পারে স্কুল৷ এতেও কাজ না হলে ওই পড়ুয়াকে বিতাড়িত করতে পারে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ এর জন্য আগাম কোনও নোটিশ দেওয়ার দরকার পড়বে না স্কুলের৷
আরও পড়ুন: জয়েন্টের রেজাল্টে বাংলা মাধ্যমের মুকুটে পালক
আদালতের নির্দেশে চাপে পড়ে গিয়েছেন অভিভাবকরা৷ অতিমারী পর্বে কাজ হারান পড়ুয়ারা বাবা-মা৷ অথবা কাজ থাকলেও পরিবারের আয় কমেছে৷ এই পরিস্থিতিতে সন্তানের স্কুল ফি দিতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের৷ আদালত সেই অসুবিধার কথা মেনে নিয়েছে৷ হাইকোর্টের বক্তব্য, করোনা ও লকডাউন আবহে যেমন বহু পরিবারের অর্থনৈতিক সংকট হয়েছে, তেমনি স্কুল গুলি চালানোর ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এটা খুব দুঃখজনক যে বহু ক্ষেত্রে অভিভাবকরা সরকারি চাকরি করছেন এবং সচ্ছলতা রয়েছে, তাঁরাও ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন দিচ্ছেন না৷ অথচ বেতন দেওয়া ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে তাঁরা অর্থ খরচ করছেন যা অত্যন্ত উদ্বেগ এবং দুঃখজনক।