কলকাতা: গড়িয়াহাট কাকুলিয়া জোড়া খুনের ঘটনার অনেকটাই কিনারা করে ফেলেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা৷ তারা জানতে পেরেছে যে, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কে৷ কিন্তু সে পলাতক৷ তাঁর মোবাইলের শেষ লোকেশন ঘটনাস্থল বলেও পুলিশ সূত্রে খবর৷ কিন্তু, ঘটনার পর থেকে তার ফোন বন্ধ রয়েছে৷ কল ডিটেক্টর রেকর্ডিং পরীক্ষার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি নম্বর সন্দেহভাজনের নম্বর যোগাড় করেছে গোয়েন্দারা৷ আর গোটা ঘটনা ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি৷ তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্ত ধরা পড়বে৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেই তদন্তের জাল গুটিয়ে ফেলবে হোমিসাইড শাখা৷
আরও পড়ুন: গড়িয়াহাটে জোড়া খুনে নয়া মোড়, আটক চাকী পরিবারের পরিচারিকা
এদিন ডায়মন্ড হারবারের কপাট হাট থেকে চাকী পরিবারের পরিচারিকা মিঠু হালদারকে আটক করে হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। ডায়মন্ড হারবার থানা থেকে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে৷
কাঁকুলিয়া রোডে খুনের ঘটনায় জাল গোটাচ্ছে পুলিশ। সম্পত্তি বিক্রির ব্যাপারে কার সঙ্গে কথা হয়েছিল তৈরি হচ্ছে তার তালিকা। গতকাল লালবাজারের গোয়েন্দারা সুবীর চাকীর অফিসে ও বাড়িতে যান। বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্পত্তি বিক্রির ব্যাপারে কথা বলতেই রবিবার সুবীর চাকী কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ির কাছে বালাসন সেতুতে বিপজ্জনক ফাটল, বন্ধ যান চলাচল
গড়িয়াহাটে জোড়া খুনের কিনারা করতে তৎপর পুলিশ। বাড়ি বিক্রি নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে খুন হতে হয়েছে কর্পোরেট কর্তাকে, অনুমান পুলিশের। গত দু’দিন ধরে বিভিন্ন সূত্রের খোঁজ চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। বাড়ির ব্রোকার বা দালালদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি তালিকাও তৈরি করেছে পুলিশ। তবে, জোড়া খুনের তদন্তে আজ চাকী পরিবারের পরিচারিকাকে আটক করা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। আজই তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। খুনের সঙ্গে কোনও প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।