কলকাতা : গড়িয়াহাট হত্যাকাণ্ডের নয়া মোড়। ডায়মন্ড হারবারের কপাট হাট থেকে চাকী পরিবারের পরিচারিকা মিঠু হালদারকে আটক করে হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। ডায়মন্ড হারবার থানা থেকে তাকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়েছে।
কাঁকুলিয়া রোডে খুনের ঘটনায় জাল গোটাচ্ছে পুলিশ। সম্পত্তি বিক্রির ব্যাপারে কার সঙ্গে কথা হয়েছিল তৈরি হচ্ছে তার তালিকা। গতকাল লালবাজারের গোয়েন্দারা সুবীর চাকীর অফিসে ও বাড়িতে যান। বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্পত্তি বিক্রির ব্যাপারে কথা বলতেই রবিবার সুবীর চাকী কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে গিয়েছিলেন। গড়িয়াহাটে জোড়া খুনের কিনারা করতে তৎপর পুলিশ। বাড়ি বিক্রি নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে খুন হতে হয়েছে কর্পোরেট কর্তাকে, অনুমান পুলিশের। গত দু’দিন ধরে বিভিন্ন সূত্রের খোঁজ চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। বাড়ির ব্রোকার বা দালালদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি তালিকাও তৈরি করেছে পুলিশ। তবে, জোড়া খুনের তদন্তে আজ চাকী পরিবারের পরিচারিকাকে আটক করা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। আজই তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। খুনের সঙ্গে কোনও প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : শিলিগুড়ির কাছে বালাসন সেতুতে বিপজ্জনক ফাটল, বন্ধ যান চলাচল
রবিবার গড়িয়াহাট থানা এলাকার ৭৮-এ কাঁকুলিয়া রোডের একটি তিনতলা বাড়ি থেকে সুবীর চাকী ও রবীন মণ্ডলের ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে প্রথমে ধোঁয়াশা থাকলেও, কিছু সূত্র হাতে আসছে তদন্তকারীদের। মঙ্গলবার লালবাজারের ডগ স্কোয়াড ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে পুলিশ কুকুর বাড়িটিতে ঘোরাফেরা করার পরই সোজা চলে যায় বালিগঞ্জ স্টেশনে। তদন্তকারীরা অনুমান করছেন, আততায়ীরা খুনের পরেই ট্রেনে চেপে গা ঢাকা দিয়েছে।