কলকাতা: ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটে পর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। এ বার বিধায়ক পরে শপথ নিতে হবে মমতাকে। সূত্রের খবর, পুজোর আগে অর্থাৎ চলতি সপ্তাহেই শপথ নিতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
তবে মমতার শপথ কোথায় হবে, তা নিয়ে দেখা নিয়েছে জটিলতা। কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন তা নিয়েও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের রাজ্যপালের অনুমতিক্রমে বিধানসভার স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করান। অর্থাৎ, রাজ্যপাল অনুমতি দিলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন।
আরও পড়ুন: লাখিমপুরের ঘটনায় মৃত বেড়ে ৮, পঞ্জাবে বিক্ষোভ, শোকপ্রকাশ মমতার
লোকসভার ক্ষেত্রে সাংসদদের শপথগ্রহণ করানোর দায়িত্ব দেশের রাষ্ট্রপ্রতির। বিধানসভায় সেই দায়িত্ব পালন করেন রাজ্যপাল। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাংসদ-বিধায়কদের শপথগ্রহণের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল তাঁর মনোনীত ব্যক্তির হাতে তুলে দেন। লোকসভা ও বিধানসভার স্পিকাররাই সেই দায়িত্ব পান।
বহু দিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালরা স্পিকারকে এই দায়িত্ব দিয়ে রেখেছিলেন। সম্প্রতি সম্প্রতি রাজভবন থেকে বিধানসভার সচিবালয়ে জানানো হয়েছে, এই অনুমতি প্রত্যাহার করতে পারেন রাজ্যপাল। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি ফোনে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও খবর।
আরও পড়ুন: উৎসবের সময় বাংলার মানুষ দুঃখে আছে, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব: মমতা
রাজ্যের তরফে রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল, যাতে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই মমতাকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ৫ তারিখ পর্যন্ত গেজেট নোটিফিকেশন কার্যকর আছে। এ বিষয়ে যা বলার তার পরেই বলবেন।
ফলে চলতি সপ্তাহে মমতার শপথ আদৌ হবে কি না তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ বিধানসভার বদলে রাজভবনে হলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নাও যেতে পারেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। জটিলতা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী, পরিষদীয় মন্ত্রী ও স্পিকারের মধ্যে ফোনে নিরন্তর আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে রেকর্ড ভোটে জয় মমতার, কার্যত নিশ্চিহ্ন বিজেপি-সিপিএম