কলকাতা: পোস্টাল ব্যালটের গণনা শুরু হতেই আভাস মিলেছিল। বেলা গড়াতেই ব্যবধান বাড়তে বাড়তে কার্যত আকাশ ছুঁল। ভবানীপুর উপনির্বাচনে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিগুণ ব্যবধানে জয় পেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে শোভনদেব ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে জিতেছিলেন। তিনি পদত্যাগ করায় এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। মমতার এই জয় উচ্ছ্বসিত জোড়াফুল শিবির। মমতার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। তাঁর জামানত জব্দ হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোথাও নেই বামেরা, নোটা থেকে এগিয়ে সিপিএমের শ্রীজীব
এ বারের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮৫ হাজার ২৬৩টি ভোট পেয়েছেন। ৭১.৮৮ শতাংশ ভোট গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ২২.২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৬ হাজার ৪২৮। সিপিএমের শ্রীজীব বিশ্বাস ৪২২৬টি ভোট পেয়েছেন। শতাংশের বিচারে যা ৩.৫৬।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ২৫ হাজার ৩১০ ভোটে জেতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬৫ হাজার ৫২০টি ভোট পেয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শতাংশের বিচারে যা ৪৭.৬৭। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের দীপা দাসমুন্সী ৪০ হাজার ২১৯টি ভোট (২৯.২৬ শতাংশ) পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে জিতেই তিন কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা মমতার
২০১১ সালের উপনির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায়কে ৪৯ হাজার ৯৩৬ ভোটে হারান মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো সেবার ৭৩ হাজার ৩৬৫টি ভোট পেয়েছিলেন। শতাংশের বিচারে যা ৭৭.৪৬। নন্দিনী ২০.৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। মোট ১৯ হাজার ৪২২টি ভোট সিপিএমের ঝুলিতে গিয়েছিল।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলের নিরিখে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মালা সাহা ৩১৬৮ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। ২০১৪ সালেঢ় লোকসভা নির্বাচনে অবশ্য ভবানীপুর বিধানসভায় ১৮৫ ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল।