কাঠমান্ডু: নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন শের বাহাদুর দেউবা (Sher Bahadur Deuba)৷ সোমবার নেপাল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ দেউবাকে দু’দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে৷
আরও পড়ুন: লকডাউনেও ফি নেবে বেসরকারি স্কুলগুলি
এই নিয়ে পঞ্চমবার নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে চলেছেন শের বাহাদুর দেউবা৷ এর প্রভাব পড়তে চলেছে ইন্দো-নেপাল সম্পর্কে৷ ওলির জমানায় নানা ইস্যুতে ভারত-নেপাল সম্পর্কের অবনতি ঘটে৷ চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে গিয়ে ওলি ভারত বিরোধিতার পথ নেন৷ অথচ ওলির আগের নেতারা চীনের থেকে ভারতকে বেশি গুরুত্ব দিতেন৷
দেউবাও প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতেন৷ তাই তিনি ফের প্রধানমন্ত্রী পদে বসলে দুই দেশের সম্পর্কের শীতলতার বরফ কাটবে বলে মত কূটনৈতিক মহলের৷ অপরদিকে চীনের আগ্রাসন ঠেকাতে নেপালকে পাশে প্রয়োজন ভারতের৷ কূটনৈতিক মহলের আশা, পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ফের দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে৷
আরও পড়ুন: শীঘ্রই আঘাত হানবে করোনার তৃতীয় ঢেউ: আইএমএ
এর আগে চারবার প্রধানমন্ত্রী হলেও কোনওবারই পূর্ণ সময়ের জন্য পদে থাকেননি৷ ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম নেপালের প্রধানমন্ত্রী হন দেউবা৷ তবে তাঁর মেয়াদের স্থায়িত্ব ছিল দেড় বছর৷ এর পর ২০০১ সালের অগাস্ট থেকে ২০০২ সালের অক্টোবর অবধি তিনি দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন৷ তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন ২০০৪ সালের জুন মাসে৷ ১০ মাস পর তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ৷ বারো বছর পর ২০১৭ সালে চতুর্থবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি৷ সেবছরই ভারতে আসেন৷ দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে৷