ইসলামাবাদ: পেগাসাস নিয়ে উত্তাল হয়ে রয়েছে ভারতের রাজনীতি। যার জেরে বিপাকে কেন্দ্রের মোদি সরকার। আর সেই একই কারণে এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চেও চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে ভারতকে। কারণ ওই ইজরায়েলি সফটওয়্যারের সাহায্যে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মোবাইলে আড়ি পেতেছে ভারত। জাতিসংঘে ভারতের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন- প্রয়োজন ছাড়া অফিসে মোবাইল নয়, সরকারি কর্মীদের নয়া নির্দেশিকা
পেগাসাস নিয়ে উতপ্ত হয়েছে ভারতের সংসদের বাদল অধিবেশন। বিরোধীদের বিক্ষোভের কারণে বারবার মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে অধিবেশন। গত শুক্রবার সংসদের বাইরেও বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিরোধী সাংসদেরা। আর ওই দিনেই পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে আরও বড় খবর। ওই দেশের বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- এক ধাক্কায় ৪ হাজার বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ
পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী জানিয়েছেন যে এই বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দিল্লির বিরুদ্ধে সরব হবে ইসলামাবাদ। সেই বিষয়ে যাবতীয় পরিকল্পনা করে ফেলা হয়েছে। সংবাদমধ্যমের কাছে জাহিদ হাফিজ চৌধুরী বলেছেন, “আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে ভারত সরকার বিভিন্ন ব্যক্তির ফোন ট্যাপ করেছে। সেই তালিকায় ভারতের সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি অনেক বিদেশি রয়েছেন। আর সেখানেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নামও দেখা গিয়েছে।”
আরও পড়ুন- সাত সকালে কাশ্মীরে এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি
এই আড়ি পাতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। ওই দেশের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরীর কথায়, “বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। সেই কারণেই আমরা এই বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে উত্থাপন করতে চাইছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার জন্য আমরা জাতিসংঘের কাছেও আবেদন জানিয়েছি।”
পেগাসাস স্পাইওয়্যার কী একটি হ্যাকিং সফটওয়্যার৷ ইজরায়েলের সংস্থা এনএসও গ্রুপ তৈরি করে৷ অর্থের বিনিময়ে এই সফটওয়্যার বিভিন্ন দেশের সরকারকে ব্যবহারের লাইসেন্স দেয়৷ বিশেষজ্ঞরা একে সাইবার অস্ত্র বলে থাকে৷ এর সাহায্যে মূলত জঙ্গিদের গতিবিধি সম্পর্কে জেনে অভিযান চালাতো সেনা। সেই একই কারণে ইজরায়েলের থেকে ভারত ওই সফটওয়্যার কিনেছিল। যা অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।