প্যারিস: তালিবান দখলে যাওয়া আফগানিস্তানের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যে আফগানভূমি থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য আমেরিকাকে হুমকি দিয়েছে তালিবান। এই অবস্থায় আফগানিস্তান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের একাধিক দেশ। যাদের নানাবিধ কর্মকান্ড ছিল কাবুলিওয়ালার দেশে।
পূর্ব ঘোষণা অনুসারে চলতি মাসের শেষ দিনের মধ্যে আফগানিস্তান ছাড়ার কথা মার্কিন সেনাবাহিনীর। তার আগেই আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করতে চাইছে ফ্রান্স। বৃহস্পতিবার রেডিও বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাস্টেক্স। শুক্রবারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে কাবুল বিমানবন্দর থেকে ফ্রান্সের উদ্ধার কাজ।
গত ১৫ অগস্ট কাবুল দখল করে তালিবান। সেই সঙ্গে সমগ্র আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তালিবানের দখলে। সেই সময় থেকেই বিভিন্ন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিজের দেশের নাগরিকদের আকাশপথে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। যেখানে উল্লেখযোগ্য ছিল ভারত এবং আমেরিকা। সেই সঙ্গে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স বা নেদারল্যান্ডের মতো রাষ্ট্রের নামও ছিল।
আরও পড়ুন- জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আফগানিস্তান ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়ালেন মমতা
নিজের দেশের নাগরিক ছাড়াও অনেক আফগানদের উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে ওই সকল দেশ। সেই কাজ থামাতে চাইছে ফ্রান্স। ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “কাবুল বিমানবন্দর থেকে মানুষকে নিয়ে আসা আর সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণে ওই কাজ আমরা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এখনও পর্যন্ত ২৫০০ জনকে আফগানিস্তান থেকে আরব হয়ে ফ্রান্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় ফ্রেঞ্চ নাগরিক ছাড়াও অনেক আফগান রয়েছেন। আফগানিস্তানের অনেক শিল্পী এবং সাংবাদিকদের সপরিবারে নিজের দেশে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে ফ্রান্স।
ফ্রান্সের দেখানো পথেই হাঁটতে চাইছে ইংল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ড। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানকে আর নিরাপদ বলে মনে করছে না ওই সকল দেশ। কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। সেই সতর্কতা আসতেই উদ্ধার কাজ বন্ধ করার ঘোষণা করল ফ্রান্স। একই পথে হাঁটার কথা ভাবছে নেদারল্যান্ড।