প্যারিস: ‘স্বাধীনতা চাই৷’ ফ্রান্স ও ইতালির অলিতে গলিতে এখন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে এই স্লোগান৷ যে কোনও ধরনের কাজকর্ম শুরুর আগে ভ্যাকসিনেশন কার্ড দেখানো বাধ্যতামূলক করার পথে হাঁটতে চলেছে ওই দুই দেশের সরকার৷ তাতে আপত্তি জানিয়েছে দুই দেশের নাগকিরদের একাংশ৷ সরকারের যুক্তি, টিকাকরণে জোর দিতেই এই ব্যবস্থা৷ কিন্তু প্রতিবাদীদের বক্তব্য, সরকার এভাবে কাউকে টিকা নিতে জোর করতে পারে না৷ তাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়৷ এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স ও ইতালি৷
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন নিতে কোলে বাচ্চা নিয়ে রাতভোর লাইনে দাঁড়িয়ে অসংখ্য পুরুষ ও মহিলা
করোনাকে প্রতিহত করতে ভ্যাকসিন নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ টিকাকরণে উৎসাহ বাড়াতে তাই বিভিন্ন দেশে নাগরিকদের নানা সুযোগ-সুবিধা বা কেনাকেটায় ছাড় দেওয়া হচ্ছে৷ উল্টোদিকে ট্রেনে-বিমানে উঠতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট৷ ফ্রান্স ও জার্মানিতে ইন্ডোর এবং আউটডোর নানা কাজকর্মের জন্য ভ্যাকসিনেশন কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ যারা করোনার টিকা নেবেন তাদের দেওয়া হবে ওই কার্ড৷ ফ্রান্সে বলা হচ্ছে গ্রিন পাস৷ জার্মানিতে হেলথ পাস৷ এই পাস দেখালে তবেই কাফেতে গিয়ে চা-কফি খাওয়া, রেস্টুরেন্টে ডিনার করা, স্টেডিয়ামে খেলা দেখা অথবা মিউজিয়ামে প্রবেশের অনুমতি মিলবে৷ এতেই আপত্তি বিক্ষোভকারীদের৷
সরকারি নিয়মের বিরোধিতায় গত সপ্তাহে ইতালির রাস্তায় নেমেছিলেন হাজার হাজার মানুষ৷ বিক্ষোভ হয়েছে ফ্রান্সেও৷ বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল মহাত্মা গান্ধীর পোস্টার৷ মুখে স্বাধীনতার স্লোগান৷ বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে গেলে তাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ৷ ধস্তাধস্তিতে আহত হন দু’পক্ষের অনেকেই৷ গ্রেফতার করা হয় ১৯ জনকে৷
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর লাহুল ভ্যালি থেকে উদ্ধার ২২১ জন পর্যটক
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইউরোপের অধিকাংশ দেশেই টিকাকরণ বাধ্যতামূলক নয়৷ কিন্তু ফ্রান্স ও ইতালিতে ঘুরপথে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে চাইছে সরকার৷ যাঁরা টিকা নিয়েছেন তাঁরা রেস্টুরেন্টে ঢুকতে পারবেন৷ যাঁরা নেননি তাঁরা এসব কিছুই করতে পারবে না৷ এতে সমাজে বিভাজন বাড়বে৷