বসিরহাট : দিনের বেলা লাইন দিয়ে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না। তাই আগের দিন রাত থেকেই হাসপাতালের বাইরে লাইন দিচ্ছেন অসংখ্য পুরুষ ও মহিলারা।ভ্যাকসিন নিতে কোলে ছোট বাচ্চা নিয়ে খোলা আকাশের নীচে রাত্রি বাসও করছেন বেশ কিছু মহিলা। ফের একবার এমন চিত্র ধরা পড়ল বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে।
আরও পড়ুন : বিহারের যুবক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্ধার বসিরহাটে
সোমবার হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তার আগের দিন থেকে হাসপাতালের সামনে লাইন দিয়েছিলেন অসংখ্য পুরুষ ও মহিলা। যাঁদের মধ্যে বেশ কিছু বৃদ্ধ ও বৃদ্ধারাও ছিলেন। এনাদের মধ্যে কয়েকজন মহিলা সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এসেছিলেন। হাড়োয়া থেকে ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিভিন্ন জায়গা থেকেও অনেক মানুষকে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে লাইনে দেখা যায়। এক দিন আগে থাকতে এই লাইন দেওয়ার কারণ কী ? লাইনে থাকা কয়েকজনকে এই প্রশ্ন করলে, জবাবে তাঁরা জানান, দিনের বেলা লাইন দিয়ে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না অনেকেই। ফলে তাঁদের ফায়ার যেতে হয়েছে। এত দূর থেকে এসে লাইন দেওয়ার পরেও ভ্যাকসিন পাননি তাঁরা। যে কারণে আগের দিন রাত থেকেই লাইন দিয়েছেন তাঁরা। অনেককে দেখা গেল, লাইনে মাদুর পেতে শুয়েও পড়েছেন। এঁদের কারোর সঙ্গে রয়েছে ছোট বাচ্চা, আবার কেউ নিজের বৃদ্ধ বাবা কিংবা মাকে নিয়ে এসেছে। এনাকে কেউই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন নেবেন না। কারণ, তাঁদের মতে বেসরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন জাল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতালে টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হবে। যে টাকা দেওয়ার সামর্থ্য তাঁদের নেই। সে কারণে গ্রামীণ হাসপাতালই তাঁদের একমাত্র ভরসা। তার জন্য যদি খোলা আকাশের নীচে রাত্রিবাসও করতে হয়, তার জন্যও প্রস্তুত তাকবেন বসিরহাট ও সুন্দরবনের বাসিন্দারা।