কলকাতা: ১৬ নভেম্বর মঙ্গলবার থেকেই নবম-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্কুল খুলছে৷ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর৷ করোনা বিধি রাজ্যের সমস্ত প্রান্তের স্কুল খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ গত ২৫ অক্টোবর উত্তরকন্যার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যসচিবকে স্কুল খোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর এ দিন রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রশাসনকে কোভিড বিধি মেনে স্কুল খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
এ দিনের নির্দেশ নামায় বলা হয়েছে, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত স্কুলের ক্লাস ঘর গুলিকে ‘ক্লাসযোগ্য’ করে তুলতে হবে৷ করোনা বিধি অনুযায়ী কী কী ব্যবস্থা করা যায় তা অবশ্যই অতিরিক্ত জেলাশাসকের অনুমতি নিয়ে করতে হবে৷ ক্লাস ১৬ নভেম্বর থেকে চালু হলেও ১ নভেম্বর থেকে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের বিদ্যালয়ে আসতে হবে৷ প্রয়োজন অনুযায়ী হোস্টেল খুলতে হবে৷ আর কোনও ভাবেই পড়ুয়াদের ক্লাস ঘর থেকে দূরে রাখা যাবে না৷
করোনা পরিস্থিতিতে ২৩ মার্চ ২০২০ সাল থেকে সংক্রমণ রুখতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর ধীরে ধীরে রাজ্যের সমস্ত অফিস, দোকান বাজার খুললেও স্কুল-কলেজ কেন খুলছেনা? এই প্রশ্ন বার বার উঠছিল বিভিন্ন মহলে। তবে, করোনা পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার কথা ভেবে স্কুল খোলার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
যার ফলে প্রবল সমস্যায় পড়েছিল পড়ুয়ারা। এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরই সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আর সেই মুহূর্তেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন স্কুল খোলার তারিখ। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর খুশি রাজ্যের অধিকাংশ স্কুল- কলেজের শিক্ষক সংগঠন। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত খুলছে স্কুল। সপ্তাহের সব দিন ক্লাস হবে না বলেও জানানো হয়েছে। স্কুল কলেজ খোলার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা।
পুজোর পরেই যে স্কুল খোলা হবে সেই কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । সেই কারণে স্কুল খোলার চূড়ান্ত দিনক্ষণ রাজ্য ঘোষণা না করলেও যাবতীয় কাজ মিটিয়ে রাখতে চাইছিল দফতর। বিকাশ ভবনের তরফে দেওয়া হয়েছে একাধিক নির্দেশ। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করার ক্ষেত্রে সময়সীমাও ধার্য করে দিয়েছে বিকাশ ভবন।
আরও পড়ুন – পুজোর পরেই স্কুল খোলার কথা, আগে থেকেই স্যানিটাইজেশন-সহ যাবতীয় কাজের সময়সীমা বেঁধে দিল বিকাশ ভবন
মোট ১৪ দফার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিকাশ ভবনের তরফ থেকে। বলা হয়েছে, ২৯ অক্টোবরের মধ্যে স্কুলগুলির (মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক) পরিষ্কার এবং স্যানিটাইজেশনের প্রথম দফার কাজ শেষ করতে হবে। পুনরায় খোলার তারিখ ঘোষণা হলে তার আগে দ্বিতীয়বার আবার পরিষ্কার এবং স্যানিটাইজেশন করতে হবে। এছাড়াও পুনরায় স্কুল-কলেজ চালু করতে একাধিক নির্দেশ জারি করা হয়েছে।