কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: আবহাওয়া দফতরের বৃষ্টির পূর্বাভাসের মধ্যেই মঙ্গলবার সন্ধে থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায়। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বৃষ্টি চলবে আগামী শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। অকালবৃষ্টির ফলে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। উত্তরবঙ্গ জুড়েও গত কয়েকদিনে নেমেছে তাপমাত্রা। শুরু হয়েছে বৃষ্টিও। পৌষের শেষের এই বৃষ্টিতে শীতকালীন ফুল ও সবজি চাষ মার খাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা।
এদিন সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন ও কুয়াশায় ঢাকা ছিল শিল্পশহর দুর্গাপুর ও বাঁকুড়া। গতকাল ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ঠান্ডার প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে দু’শহরেই। সকাল থেকেই কুয়াশার জেরে জেলায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
বাঁকুড়া জেলা হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১৬.৮ মিলিমিটার। আজ বাঁকুড়া জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুর্গাপুরে সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন: Covid 19 Kolkata: পৌষের শেষে বেখেয়ালি আবহাওয়া, সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের
উত্তরবঙ্গে পৌষ সংক্রান্তির আগের ফের একবার জাঁকিয়ে শীত পড়েছে ডুয়ার্সেও। সকাল থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টির সঙ্গে মেঘলা আকাশ। পৌষ মাসের শেষ লগ্নে শীত উপভোগ করছেন ডুয়ার্সবাসী। সকাল থেকে ধূপগুড়ি সহ তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টি শীতের আমেজকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
কিন্তু, এই আবহাওয়ায় ফুল, আলু ও শীতকালীন সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। বেগুন, কপি, মটরশুঁটি, টম্যাটো, বিভিন্ন শাক বৃষ্টির ফলে মাঠেই নষ্ট হয়ে যাবে। ক্ষতি হবে শীতকালীন ফুল চাষেরও। বিশেষ করে আলু চাষিরা ক্ষতির প্রমাদ গুনছেন এই আবহাওয়ার কারণে। ভিজে ও স্যাঁতসেতে আবহাওয়া আলু চাষের পক্ষে বিপজ্জনক। ফলে, অসময়ের এই বৃষ্টিতে বহু টাকার লোকসান হতে পারে বলে মাথায় হাত পড়েছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বুধবার দুপুর থেকে দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আচমকাই ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সেই সঙ্গে শিলা বৃষ্টি হয় বেশ কয়েক জায়গায়। এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রার পারদ ছিল নিম্নমুখী। তার পর বুধবার আচমকাই শিলা বৃষ্টি হওয়ায় এই মুহূর্তে গোটা পাহাড়ে জাঁকিয়ে কনকনে ঠান্ডার আমেজ।