হাওড়া: বাইক চুরির টাকা না পেয়ে সঙ্গীকে খুন করে ইট ভাটায় পুঁতে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার দুই। সাঁকরাইল বাসিন্দা সেখ হাসানের দেহ উদ্ধার হল দীর্ঘ প্রায় আট মাস পর। অভিযুক্ত হাসানের দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করে মাটির তলা থেকে তোলা হল হাসানের দেহাংশ । পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হাওড়ার সাঁকরাইল এলাকা থেকে তিনজন যুবক মিলে একটি বাইক চুরি করে। চুরির বাইকটি হাসানের কাছেই রাখা ছিল, কয়েকদিন পর সেই বাইক বিক্রি করে দেয় সে। তিনজনের সেই টাকার ভাগ পাওয়ার কথা থাকলেও হাসান তার দুই সঙ্গী ইসরাফিল ও মুন্নাকে টাকা না দিয়েই পুরো টাকাটি সে আত্মস্মাৎ করে নেয়।
তারপর তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তৈরী হয় মুন্না ও ইসরাফিল । সুযোগ বুঝে জানুয়ারি মাসের এক রাতে হাসানকে মদ্যপানে ডাকে দুই সঙ্গী। সেখানেই হাসানকে গলা টিপে খুন করে সেই রাতে মাটি খুঁড়ে সেখানে পুঁতে দেয় তাঁরা। হাসানের পরিবার থানায় নিখোঁজ মামলা করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে হাসানকে শেষ বারের মতো দেখা গিয়েছিলো এই মুন্নার সঙ্গে।
তারপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে খড়গপুর থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে, জিজ্ঞাসাবাদে মুন্নার কাছে থেকে ইসরাফিলের খোঁজ পায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ইসরাফিলকে। পুলিশি জেরায় হাসানকে খুন করে মাটিতে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে মুন্না ও ইসরাফিল।
আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ডাকাত, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যাংক ডাকাতি রুখল পুলিশ
শুক্রবার বিকালে দুই অভিযুক্ত কে সঙ্গে নিয়ে সাঁকরাইল সারেঙ্গা এলাকার একটি ইট ভাটার সংলগ্ন এলাকার মাটি খুঁড়ে দেহাংশ উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া দেহাংশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ধৃত মুন্না ও ইসরাফিলের দাবি, এর আগেও বেশ কয়েকবার তাঁরা একসঙ্গে চুরি করলেও প্রতিবারই টাকার ভাগ করা হত, কিন্তু হাসান এই বাইক বিক্রি করে তাদের মিথ্যে কথা বলে, এবং হাসান নিজেই পুরো টাকা নিয়ে নেয়। সেই কারণেই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে ওই দুই অভিযুক্ত। ইতিমধ্যেই ধৃতদের হাওড়া আদালতে পেশ করে নিজেরদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রথমে অপহরণ মামলা থাকলেও এদের বিরুদ্ধে নতুন করে খুন ও দেহলোপাটের মামলা রুজু করছে হাওড়া পুলিশ।
আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে বাংলার সেরা জেলা বাঁকুড়া