বর্ধমান: তোলা না পেয়ে স্কুলে টিউবওয়েল বাসানো বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পরেও তোলা আদায় যে বন্ধ হয়নি, তা আরও একবার প্রমাণিত হল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের চিকনহাটি গ্রামের ওই তৃণমূল নেতার কার্যকলাপে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের ভিলেজ রিসোর্স পার্সন পদে কর্মরত ওই তৃণমূল নেতার নাম বিশ্বজিৎ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনল এক ঠিকাদার সংস্থা। ওই সংস্থার অভিযোগ, তাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা তোলা চান বিশ্বজিৎ। কিন্তু সেই টাকা না পেয়ে চিকনহাটির প্রাথমিক স্কুলে টিউবওয়েল বসানোর কাজ বন্ধ করে দেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার জামালপুর থানা ও বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন নির্মাণকারী সংস্থার কর্ণধার শেখ মারজান আলি। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেছেন পুলিস ও প্রশাসনের কর্তারা।
চিকনহাটি প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের রান্না ও পানীয় জলের সংস্থানের জন্যে জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতি স্কুলে একটি টিউবওয়েল বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। প্রশাসনকে নির্মাণকারী সংস্থার কর্ণধার মারজান আলি জানান, স্কুলে টিউবওয়েল বসানোর জন্য পঞ্চায়েত সমিতি ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ করে। তাঁর সংস্থা সেই কাজের বরাত পায়। কাজ শুরুর আগে তিনি ও তাঁর লোকজন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন। গত সোমবার টিউবওয়েল বসানোর কাজ শুরু করে শ্রমিক ও মিস্ত্রিরা। অভিযোগ, শ্রমিক ও মিস্ত্রিরা কাজ শুরু করতেই ওই তৃণমূল নেতা তাঁর দলবলকে স্কুলে নিয়ে গিয়ে কাজে বাধা দেন। একই সঙ্গে হুমকি দেন, ১০ হাজার টাকা তোলা না দিলে তিনি টিউবওয়েল বসানোর কাজ করতে দেবেন না।
মারজান আলি জানান, ৭০ হাজার টাকার কল বসাতে গিয়ে ১০ হাজার টাকা তোলা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই চিকনহাটি প্রাথমিক স্কুলে কল বসানোর কাজ বন্ধ করে সমস্ত সরঞ্জাম গুটিয়ে নিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, স্কুলে কিসের কাজ হচ্ছিল তা জানতে চেয়েছি। স্কুল পরিচালন কমিটির কোনও সদস্য কিংবা পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি না হয়েও টিউবওয়েল বসানোর ব্যাপারে কেন জানতে চাইলেন? জবাবে বিশ্বজিৎ বলেন, অধিকার আছে বলেই স্কুলে জানতে গিয়েছিলাম।