কলকাতা: অভিনেত্রী মডেল বিদিশা দে মজুমদারের মৃত্যুরহস্যে পুলিসের হাতে এসেছে কয়েকটি তথ্য। বিদিশার ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে তিন পাতার একটি সুইসাইড নোট। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, পেশাগত চাপের কারণেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। যদিও বিদিশার বান্ধবীর বয়ান ও তাঁর সঙ্গে করা শেষ হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট অন্য কথা বলছে। মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগেই বান্ধবী দিয়া দাসের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেছিলেন বিদিশা। সেই চ্যাটের স্ক্রিনশট দেখলেই বোঝা যায়, প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের কারণে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। ওই প্রেমিককে কাছে না পাওয়ার কষ্ট, যন্ত্রণা ওই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের পরতে পরতে উঠে এসেছে।
বান্ধবী দিয়া দাসের সঙ্গে শেষবার কী কথা হয়েছিল বিদিশার?
উঠতি মডেলের মৃত্যুর পর বান্ধবী দিয়া দাস সেই চ্যাটের স্ক্রিনশট পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছেন। সেখানে উঠে এসেছে একটাই নাম, অনুভব বেরা। বিদিশার বান্ধবী জানান, মেদিনীপুরের বাসিন্দা ওই জিম ট্রেনারকে পাগলের মতো কাছে চাইতেন বিদিশা। প্রতি মুহূর্তে চোখে হারাতেন। যদিও অনুভবের তরফে তেমন কোনও সাড়া পাননি ওই অভিনেত্রী। তবুও নাছোড়বান্দা বিদিশা অনুভবকে ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারতেন না। ওই চ্যাটে বিদিশা লিখেছেন, ‘আমি বাঁচতে পারব না অনুভবকে ছাড়া। আমি সত্যি চলে যাব সব ছেড়ে। খুব ভালোবাসি ভাই। ও একটুও বোঝে না। মিস করছি সবাইকে। খুব কষ্ট হচ্ছে দিয়া। আমি ওকে খুব ভালোবাসি। বাই এনি চান্স আমার কিছু হয়ে গেলে ওকে বলিস, খুব ভালোবাসতাম। ওকে কারোর সাথে দেখতে পারতাম না। ও শুধু আমারই। আমি শুধু ওকেই চাইতাম। মিস ইউ। আমিও বাঁচতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওর সাথে।’
বুধবার নাগেরবাজারের একটি ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় মডেল বিদিশার দেহ। ঘর থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোটও৷ সেখানে আত্মহত্যার জন্য বিদিশা কাউকেই দায়ী করেননি। কিন্তু তাঁর ফোন ঘেঁটে বেশ কিছু তথ্য পুলিসে হাতে এসেছে। তাই বিদিশার মোবাইল দুটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। তদন্তকারীরা বিদিশার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিসের হাতে এসেছে। তাতে মৃত্যুর কারণ হিসাবে আত্মহত্যার কথাই বলা হয়েছে। তবু পুলিস তদন্তে অন্যান্য বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখছেন। এছাড়া তাঁর বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: Assembly Speaker: ধনখড় হাওড়া-বিল আটকে রেখেছেন, ফের সুর চড়ালেন বিমান