একবিংশ শতাব্দিতে বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করে এগিয়ে চলেছে যুবসমাজ। গতিময় জীবনের প্রতি পদক্ষেপেই এখন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই। সেখানে পিছিয়ে পড়লেই একাকিত্ব, নিঃসঙ্গতা ও হতাশা গ্রাস করছে মানুষকে। সেই সুযোগেই সক্রিয় হয়ে উঠছে ড্রাগ মাদক চোরাচালানের গোপন দুষ্ট চক্র। যুবসমাজের হাতে তুলে দিচ্ছে বিভিন্ন নেশাদ্রব্য। এই মাদকের নেশা শুধু ব্যক্তির সম্ভাবনাময় জীবনকেই ধ্বংস করে না, প্রভাব বিস্তার করে তার পারিবারিক জীবন ও পারিপার্শ্বিক সমাজেও। সেই বেআইনি মাদক সেবনকারী ও সরবরাহকারীদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে এবার এগিয়ে এলেন জলপাইগুড়ি শহরের তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন পাচারের আগেই উদ্ধার বহুমূল্য মাছের পিন
জলপাইগুড়ির ২ নম্বর ঘুমটি স্টেশন রোড এলাকা মাদক সেবনকারীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছিল। বেশকিছুদিন ধরেই এলাকায় রমরমিয়ে চলছিল গাঁজা, ব্রাউন সুগারের কারবার। দরিদ্র পরিবারের যুবকরা লিপ্ত হয়েছিল নেশায়। মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া মাদক কারবারিদের জেলা পুলিশ সুপারের কাছে মুচলেখা দেওয়ান হয় যে তারা এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকবে না। নেশাগ্রস্ত পরিবারগুলিকে উদ্ধার করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সন্দীপ মাহাতো ও ধরম পাসোয়ান। নেশাগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিছিল করে কোতয়ালি থানায় এসে মুচলেখা জমা দেন তাঁরা। জেলা পুলিশ সুপার পরিবারগুলির পাশে থেকে নেশাগ্রস্তদের চিকিৎসা ও সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন। জলপাইগুড়ি শহরকে মাদক মুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও শাসকদলের নেতৃত্বের সাহায্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।