দিল্লি: আগামী ১০ নভেম্বর অবসর নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওআই চন্দ্রচূড়। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের সবথেকে সিনিয়র বিচারপতি সঞ্জীব খান্না৷ ১১ নভেম্বর ভারতের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। কিন্তু অবসর নেওয়ার পর কী করবেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়? তিনি কি ফের আইন প্র্যাকটিস করতে পারবেন, নাকি তাঁকে অন্য কাজ করতে হবে? এই সম্পর্কে দেশের আইন কী বলছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সংবিধানের ১২৪(৭) অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিদের অবসর সংক্রান্ত কিছু নিয়মাবলী রয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্টের যেকোনও বিচারপতি অবসর নেওয়ার পর আর আইন প্র্যাকটিস বা ওকালতি করতে পারবেন না। কারণ, ভারতীয় বিচার বিভাগ হল গণতন্ত্রের এমন একটি স্তম্ভ, যার উপর বিশ্বাস করে বিচার চেয়ে থাকেন দেশের নাগরিকরা। তাই, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি যদি আবার আইন প্র্যাকটিস বা ওকালতি করেন, তাহলে এটি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের উপর নাগরিকদের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। তবে ওকালতি করার অনুমতি না পেলেও সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা আইন সংক্রান্ত কিংবা অন্যান্য কাজও করতে পারেন।
আরও পড়ুন: উঠল নিষেধাজ্ঞা! সলমন রুশদির বিতর্কিত এই বই কিনতে পারবেন ভারতে বসেও
তাই আরবিট্রেশন অ্যান্ড কনসিলিয়েশন অ্যাক্ট, ১৯৯৬ অনুযায়ী অবসর গ্রহণের পর বিচারপতি চন্দ্রচূড় আইনি সালিস হিসাবে কাজ করার অনুমতি পাবেন। পাশাপাশি তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বা জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালের মতো কমিশনের প্রধান হিসেবে যোগদান করতে পারেন। এছাড়াও, তিনি শিক্ষকতা সংক্রান্ত পেশা বেছে নিতে পারেন। এমনকি, ইচ্ছুক থাকলে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে তাঁকে বহাল করতে পারে সরকার। তবে বিচারপতি চন্দ্রচূড় চাইলে কোনও কাজ নাও করতে পারেন।
দেখুন অন্য খবর: