বাঁকুড়া: নদী পেরিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের যাতায়াত করতে হয় স্কুলে। সময়মতো ডিঙি মেলে না এই অজুহাতে প্রায় দিনই স্কুলে আসেন না শিক্ষক শিক্ষিকারা। বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের মানাচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমনই নানা অব্যবস্থার ছবি উঠে আসে। সেই খবর সম্প্রচার হতেই নড়েচড়ে বসল মেজিয়া পঞ্চায়েত সমিতি। সরেজমিনে স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এই সমস্ত অব্যস্থার জন্য ব্যাপক ধমক চমক দিলেন মেজিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মলয় মুখোপাধ্যায়।
বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের মানাচরের অবস্থান একেবারে দামোদর নদের গর্ভে। দুদিক দিয়ে বয়ে চলা দামোদর নদ পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকার মানুষকে। যাতায়াত ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ওই চরের মানুষের জীবন ও জীবিকা। এই চরে থাকা একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থাও তথৈবচ। সময়মতো ডিঙি না মেলার অজুহাতে মাঝেমধ্যেই স্কুলে আসেন না প্রধান শিক্ষক। অপর একজন শিক্ষিকা প্রায়শই স্কুলে এলেও তাঁরও আসা যাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। অনাদরে স্কুল চত্বর ভরেছে ঝোপঝাড়ে। পড়ুয়ার সংখ্যা নামতে নামতে এখন ঠেকেছে ১১ জনে। খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে মেজিয়া পঞ্চায়েত সমিতি ও স্থানীয় স্কুল শিক্ষা দফতর।
আরও পড়ুন: ব্যালট ছিনতাইয়ের মামলায় কমিশনকে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ
ওই স্কুলের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান মেজিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মলয় মুখোপাধ্যায়। ডিঙি না মেলার অজুহাতে দিনের পর দিন স্কুলে শিক্ষকদের অনুপস্থিতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। স্কুলের এই অব্যবস্থার জন্য পুরোপুরি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করেন তিনি। এর পাশাপাশি স্কুলে সময়মতো শিক্ষক শিক্ষিকারা যাতে পৌঁছাতে পারেন তার জন্য একটি ডিঙির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় পঞ্চায়েত সমিতি গত ভাবে। স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে দাবী কিছু সমস্যা ইতিমধ্যেই মেটানো হয়েছে। বাকি সমস্যাগুলিও আগামীদিনে মেটানোর চেষ্টা করা হবে। পঞ্চায়েত সমিতি ও স্কুল শিক্ষা দফতরের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।