কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা হল। মৃত ব্যক্তির নাম দিপান রাই। বাড়ি শিবচু বনবস্তি এলাকায়। হাতির হানায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে বন দফতর ও পুলিসের প্রাথমিক অনুমান। অন্যদিকে, হাতির তাণ্ডবে নাজেহাল বিন্নাগুড়ির শেরপা বস্তির বাসিন্দারা। বুধবার গভীর রাতে বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শেরপা বস্তি এলাকায় তাণ্ডব চালায় দুটি দলছুট হাতি। তারা দু’টি বাড়ি ভেঙে ফেলে। স্থানীয়রা জানান, এ নিয়ে টানা ১৫ দিন ওই এলাকায় হাতির তাণ্ডবে ১০টি বাড়ি ভাঙার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার বিকেলে চালসা রেঞ্জের শিবচু বিটের ২বি কম্পার্টমেন্ট এলাকা থেকে বনকর্মীরা এক ব্যক্তির দেহ দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় নাগরাকাটা থানায়। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিছুদিন আগেও শিবচু এলাকায় জঙ্গলের ভিতর থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়।বনবস্তি এলাকার মানুষ যাতে জঙ্গলের ভিতরে না যান, তার জন্য সচেতন করা হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন : রাতভর দলছুট দাঁতালের তাণ্ডব, আতঙ্ক ঝাড়গ্রামের বাগমারিতে
এদিকে, রেতির জঙ্গল থেকে খাবারের খোঁজে প্রায় প্রতিদিনই ওই এলাকায় ঢুকে পড়ছে হাতি। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলে হাতির তাণ্ডব। হাতির আতঙ্কে নিশ্চিন্তে দুচোখের পাতা এক করতে পারেন না ওই এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বারবার বন দফতরকে খবর দেওয়ার পরেও কোনও কর্মী ওই এলাকায় যায় না। প্রায়দিনই বাড়িঘর ভাঙচুর করা ছাড়াও ঘরে মজুত করা খাদ্যসামগ্রী সাবাড় করে দিচ্ছে হাতি। বহুবার হাতির তাণ্ডবে বাড়ির ক্ষতি হলেও বন দফতরের তরফে কোনও ক্ষতিপূরণ মেলেনি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ক্ষতিপূরণের দাবিপত্র নিয়ে একাধিক রেঞ্জ অফিসের দরজায় ঘুরেও কোনও কাজ হয়নি। যদিও বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, কোনও এলাকায় হাতি পড়ার খবর পাওয়া মাত্রই বনকর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।